শনিবার, সেপ্টেম্বর ২৭, ২০২৫
Led03রাজনীতি

আমরা যদি বিভাজিত হই তাহলে ক্ষতিগ্রস্ত হবে সার্বভৌমত্ব: জোনায়েদ সাকি

লাইভ নারায়ণগঞ্জ: সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পটপরিবর্তন এবং দেশে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য সংবিধান সংস্কার, একটি নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত ও নির্বাচনকে অপরিহার্য বলে মন্তব্য করেছেন গণসংহতি আন্দোলন কেন্দ্রীয় কমিটির প্রধান সমন্বয়কারী জননেতা জোনায়েদ সাকি। তিনি রাষ্ট্রকে জনগণের ধারণ উপযোগী করে গড়ে তোলার ওপর জোর দেন এবং এই লক্ষ্যে ছাত্র-জনতাকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।

শুক্রবার বিকেল ৫টায় নারায়ণগঞ্জ কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন নারায়ণগঞ্জ জেলার ৯ম সম্মেলনের দ্বিতীয় ও অন্তিম দিনের সমাবেশে প্রধান আলোচকের বক্তব্যে তিনি এই জরুরি বার্তা দেন।
জননেতা জোনায়েদ সাকি তাঁর বক্তব্যে বলেন, “আমাদের প্রয়োজন বিচার, সংস্কার এবং স্থিতিশীলতা। রাষ্ট্রকে জনগণের ধারণ উপযোগী করে গড়ে তুলতে হবে।” তিনি জোর দিয়ে বলেন, “আমাদের ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত, সংবিধান সংস্কার এবং নির্বাচন জরুরি।”
সংবিধান সংস্কারের পদ্ধতি নিয়ে তিনি একটি গুরুত্বপূর্ণ দাবি তুলে ধরেন। তিনি বলেন, জনগণের সম্মতিতে ভোট ছাড়া সংবিধানের সংস্কার কিংবা মৌলিক সংশোধন করা যাবে না। আরও বলেন, জনগণের ভোটে করা সংস্কার যেন কোনোভাবেই আদালত বাতিল করতে না পারে, এই আইন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে করতে হবে, “কারণ জণগণ হলো আসল নিয়ামক শক্তি।”
দেশের রাজনৈতিক বিভাজনের তীব্র সমালোচনা করে জোনায়েদ সাকি হুঁশিয়ারি দেন। তিনি বলেন, “আমরা যদি বিভাজিত হই তাহলে ক্ষতিগ্রস্ত হবে ভূ-রাজনীতি, সার্বভৌমত্ব এবং আমরাও বহির্বিশ্বের মতো সম্মুখীন হবো গৃহযুদ্ধের।”
তিনি ছাত্রদের উদ্দেশে বলেন, এই পরিস্থিতি এড়াতে আমাদের গড়ে তুলতে হবে ঐক্য। আর সেই লক্ষ্য পূরণে ছাত্রদের সর্বোচ্চ সচেতন রাজনৈতিক ভূমিকা পালন করতে হবে।
শুধুমাত্র রাজনৈতিক দাবির মধ্যে সীমাবদ্ধ না থেকে তিনি শিক্ষাব্যবস্থার আমূল পরিবর্তনের দাবিও জানান। তিনি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং ছাত্র সংসদ নির্বাচনের পাশাপাশি আরও গভীর দাবি হিসেবে রাষ্ট্রকে নিম্নলিখিত বিষয়গুলো নিশ্চিত করতে বলেন: প্রতিটি শিশুর ১-১০ পর্যন্ত শিক্ষাদান নিশ্চিত করা। পরবর্তীতে জনশক্তি হিসেবে গড়ে তুলতে ২-৩ বছরের প্রশিক্ষণ নিশ্চিত করা। মানবিক শিক্ষাদান নিশ্চিত করতে শিক্ষকের আবশ্যক প্রশিক্ষণ নিশ্চিত করা।
তিনি বিশ্বাস করেন, এই পদক্ষেপগুলো নিশ্চিত হলেই মানুষের উন্নতি হবে এবং বাংলাদেশে আর কোনো বৈষম্য থাকবে না।
ছাত্রনেতা ফারহানা মানিক মুনার সভাপতিত্বে ও সম্মেলন প্রস্তুত কমিটির সদস্য সচিব সৌরভ সেনের সঞ্চালনায় সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে শ্রমিকনেতা তাসলিমা আখতার ও তরিকুল সুজন বক্তব্য রাখেন। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন পপি রানি সরকার ও সাইদুর রহমান।
RSS
Follow by Email