আন্দোলনে নিহত সোলাইমানের লাশ উত্তোলনে পরিবারের আপত্তি
লাইভ নারায়ণগঞ্জ: পরিবারের বাঁধায় ময়না তদন্তের জন্য উত্তোলন করা যায়নি বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে নিহত হাফেজ সোলাইমানের মরদেহ। সোমবার (৯ ডিসেম্বর) সিদ্ধিরগঞ্জের মাদানিনগর কবরস্থানে এই ঘটনা ঘটে।
এর আগে, আদালতের নির্দেশে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে সোলাইমানের মরদেহ উত্তোলনের জন্য মাদানিনগর কবরস্থানে আসেন তদন্তকারী সংস্থা অপরাধ তদন্ত বিভাগের পরিদর্শক মোসা. হাসিনা বেগমসহ সংশ্লিষ্টরা। এসময় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সহকারী কমিশনার মো. তামশিদ ইরাম খান।
জানা গেছে, কোটা আন্দোলনের সময় গত ৫ আগষ্ট দুপুরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের শিমরাইল এলাকায় ডাচ-বাংলা ব্যাংকের সামনে গুলিতে নিহত হয় হাফেজ সোলাইমান। পরবর্তীতে ওই ঘটনায় গত ২২ আগষ্ট সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় নিহতের বোন জামাতা শামীম কবির বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলাটির তদন্তভার দেয়া হয় অপরাধ তদন্ত বিভাগকে (সিআইডি)। তারই প্রেক্ষিতে সোমবার দুপুরে সিদ্ধিরগঞ্জের মাদানি নগর মাদ্রাসা সংলগ্ন কবরস্থান থেকে আদালতের নির্দেশে মরদেহ উত্তোলনের জন্য আসে সিআইডি। এসময় খবর পেয়ে নিহত সোলাইমানের পরিবারের লোকজন ঘটনাস্থলে আসে এবং মরদেহ উত্তোলনে আপত্তি জানিয়ে বাধা প্রদান করেন।
মামলার বাদী ও নিহত হাফেজ সোলাইমানের বোন জামাতা শামীম কবীর সাংবাদিকদের জানান, মামলাটির তদন্তকারী সংস্থা সিআইডি থেকে আমাদের সাথে আগে যোগাযোগ করা হয়েছিলো মরদেহ উত্তোলনের জন্য। আমরা বরাবরই মরদেহ উত্তোলনের বিষয়ে আপত্তি জানিয়ে আসছিলাম। পরবর্তীতে নিহত সোলাইমানের বাবা-মাকে বিষয়টি জানাই। তারাও মরদেহ উত্তোলনের বিষয়ে আপত্তি জানায়। কিন্তু আজকে যে তারা আদালতের মাধ্যমে সকল কাজ সম্পন্ন করে মরদেহ উত্তোলনের জন্য আসছে সেটা আমাদের জানা ছিলো না। আমরা খবর পেয়ে আজকে এখানে আসি। বিষয়টি নিয়ে আপত্তি জানাই। তখন নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট এবং তদন্তকারী কর্মকর্তা আমাদেরকে আদালতের মাধ্যমে বিষয়টি এগিয়ে নেয়ার কথা জানান।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সহকারী কমিশনার মোঃ তামশিদ ইরাম খান গণমাধ্যমকে জানান, নিহতের পরিবারের কাছ থেকে সময় চাওয়া হয়েছে। তাই আমরা তাদেরকে সময় দিয়েছি। উনারা আদালতে যাবেন। আদালতের সিদ্ধান্তে পরবর্তী ব্যাবস্থা নেয়া হবে।
মামলাটির তদন্তকারী কর্মকর্তা, অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) পরিদর্শক মোসা. হাসিনা বেগম গণমাধ্যমকে জানান, নিহত সোলাইমানের পরিবার মরদেহ উত্তোলনে রাজী নয়। তাই তারা সময় চেয়েছে। বিষয়টি আদালতের মাধ্যমে সমাধানের জন্য তাদের সময় দেয়া হয়েছে।