আগের রূপে ফিরছে মীর জুমলা সড়ক, ভোগান্তিতে নগরবাসী
লাইভ নারায়ণগঞ্জ: সেই আগের মতো সকাল-বিকেল দু বেলা করে সড়কের এক পাশে বসেছে মাছের বাজার, অন্য পাশে বিভিন্ন মালামাল সাজিয়ে দখল করে দোকানদাররা। তার মধ্যে সড়কে জমে আছে সবজি-প্লাষ্টিক থেকে শুরু হয়েছে নানান রকমের ময়লা। রোদ্রজ্জল দিনে এ অবস্থা থাকলেও বৃষ্টিতে ভোগান্তি বাড়ে আরও একগুন। বৃষ্টির পানি আর ময়লা মিশে সড়কটি ডুবে যায় কাদা-ময়লায়।
শনিবার (১২ জুলাই) বিকেলে নগরীর দিগুবাবুর বাজারের রাস্তা বা মীর জুমলা সড়কে দেকা মেলে এমন চিত্র। পচা ফল, সবজী ও মাছ-মুরগীর অবশিষ্ট অংশ থেকে শুরু করে বাজারের বিক্রি হওয়া প্রতিটি পন্যের ময়লা পরে থাকে সড়কের মাঝে। সেই ময়লা থেকে সারা এলাকায় ছড়ায় দুর্গন্ধে ও রোগ জীবানু।
এসময় স্থানীয় বাসিন্দা আকবর বলেন, কালির বাজারের রাস্তা কাজ ধরার পর থেকে এই বাজারের রাস্তা দিয়ে বড় বড় বাস আসা যাওয়া করে। এই বাজারের সাথেই একটা কলেজ আছে, সেখানেও প্রায় সময় ছাত্র-ছাত্রীরা জানালা লাগিয়ে ক্লাস করে। বাজারের যত ময়রা আছে বস রাস্তায় ফেলাটা এখনে স্বাভাবিক হয়ে গেছে। কোন দোকানের একটা লেবু পচে গেছে, সেটা রাস্তায় ফেলে দিবে। এভাবেই সারাদিন রাস্তায় ময়লা জমতে থাকে, আর যে দুর্গন্ধ হয় তাতে আমাদের এই বাজারের আশে পাশে তাকা কষ্ট হয়ে যায়।
বাজার করতে আসা আসিফ জানায়, বাজারে কি কি বিক্রি হয় সেটা এই রাস্তার দিকে তাকালেই বোঝা যায়। প্রতিটা দোকান থেকে ময়লা ছুড়ে ফেলা হয় রাস্তার মাঝে, হোক সেটা সবজি-মাংশ বা অন্য কিছুর দোকান। নিত্যদিনের বাজার করতে এখানে আসতে হয়। কিন্তু সামান্য বৃষ্টি হলেই দোকানে থাকা সবজির দাম বাড়ে, রিকশার ভাড়া বাড়ে, এর সাথে বাড়ে রাস্তায় ময়লা আর দূর্গন্ধ।
গৃহিণী তাহমিনা বলেন, যারা বাজার করতে আসে তাদের কাছে এই রাস্তাটাই একটা ঝামেলা। কদিন পরপর প্রশাসনের লোক এসে রাস্তাটা একটি খালি করে দিয়ে যায়, আবার ২-৩ দিন পর এস দেখি আগের মতো অবস্থা। বাজারের ভিতরে আলাদা মাছের বাজার থাকলেও, বঙ্গবন্ধু সড়ক থেকে বাজার ঢোকার সময় দেখা যাবে লাইন দিয়ে রাস্তার পাশে মাছ বিক্রি করছে। তাদের জায়গা থাকার পরও কেন বারবার রাস্তায় এসে বসতে মাছ হবে সেটা যানা নেই। শুধু মাছ না, যারা রাস্তার পাশে সবজি বিক্রি করে তাদর সাথে পাল্লা দিয়ে রাস্তার আরেক পাশে পেয়াজের ডালা, তেলের ড্রাম বসিয়ে দখল করেছে দোকানদাররা। যেন মনে হয় দিগুবাবুর বাজার বসেই এই সড়রকের উপর।