সোমবার, ডিসেম্বর ২৩, ২০২৪
Led03জেলাজুড়েরাজনীতিসদর

আইভীকে সাখাওয়াত ‘রাজপথে এসে ছাত্রজনতাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখালেন, হিসাব আপনাকে দিতেই হবে’

লাইভ নারায়ণগঞ্জ: জুলাই মাস থেকে নারায়ণগঞ্জে গুম-খুন হওয়ার কড়া হিসাব নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সেলিনা হায়াত আইভীকে দিতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খান। তিনি বলেছেন, গত মাসের ১৫ তারিখ থেকে আগস্টের ৬ তারিখ পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জে খুন-গুম হয়েছে। সেই খুনের হিসাব দিতে হবে শেখ হাসিনা, এমপি শামীম ওসমান, এমপি সেলিম ওসমান, আজমেরী ওসমান, অয়ন ওসমান, মেয়র আইভী, শাহ নিজাম, কমিশনার মনিরকে। আপনারা মনে করেছেন, আপনারা বেঁচে গেছেন। ছাত্রজনতাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দিয়ে মেয়র আইভী রাজপথে নেমেছে। পলায়ন করে আত্মগোপনে ছিলেন, হিসাব তো আপনাকে দিতেই হবে।

বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) নগরীর প্রেস ক্লাবের সামনে একথা বলেন তিনি। ছাত্র জনতার উপর গুলি চালিয়ে হত্যার দায়ে শেখ হাসিনাসহ তার দোসরদের বিচারের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালনের এক পর্যায়ে প্রেস ক্লাবের সামনে আসেন মহানগর বিএনপির নেতৃবৃন্দ।

এড. সাখাওয়াত হোসেন খান বলেন, শেখ হাসিনার হাতে রক্তের দাগ, তার বিচার হবে। ভয়ে বাংলাদেশ ছেড়ে পালিয়েছে সে। দুর্নীতি ভারে পুরো বিশ্বের কাছে বাংলাদেশকে তলাবিহীন ঝুড়িতে পরিণত করা হয়েছে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে বলতে চাই, ছাত্র জনতার হত্যাকারী, এ দেশের গণতন্ত্র হত্যাকারী, আওয়ামী লীগের প্রধান শেখ হাসিনাসহ, সকল মন্ত্রীপরিষদের নেতৃবৃন্দ, এমপিসহ হত্যাকারী-সন্ত্রাসীদের ধরে এনে বিচারের আওতায় আনতে হবে।

তিনি বলেন, আপনারা পিলখানার শত শত সেনাবাহিনীকে হত্যা করেছেন, গণহত্যা করেছেন। সারা বাংলাদেশে খুন-গুম করেছেন। নারায়ণগঞ্জে দেখেছেন, শামীম ওসমানের ২৬ টি গাড়ির পুড়ানো হয়েছে। এই ২৬টা গাড়ি শামীম ওসমান নিজে পুড়িয়েছে। এই গাড়িগুলো ইন্সুরেন্স করা, তাই এগুলো পুড়লে নতুন গাড়ির মূল্য পাবে। গাড়ি নিজে পুড়িয়ে সে ছাত্রদের উপর দায় চাপাতে চেয়েছে। রাইফেলস ক্লাব, নারায়ণগঞ্জ ক্লাব, পাসপোর্ট অফিস, পিবিআই অফিস ভেঙে, পুলিশদের উপর হামলা করে তারা পুলিশকে ছাত্রজনতার উপর ক্ষেপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছিল। সেনাবাহিনী, পুলিশ, বিডিআর, র‌্যাবকে ব্যবহার করে ছাত্রজনতাকে হত্যা করে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় রাখার চেষ্টা করেছিল তারা। এ প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে নারায়ণগঞ্জে জ্বালাও পোড়াও কর্মকান্ড চালিয়েছে। নারায়ণগঞ্জ ক্লাবে যারা হামলা করেছে তাদের আমরা চিনি না, তারা আওয়াম লীগ-শামীম ওসমানের সন্ত্রাসী বাহিনী। যারা অপকর্মগুলো করেছেন, ২-১ দিনের মধ্যে আপনাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে, মামলা করা হবে।

তিনি আরও বলেন, এই শামীম ওসমান, আজমেরী ওসমান, অয়ন ওসমানের নেতৃত্বে সন্ত্রাসী বাহিনী নারায়ণগঞ্জ শহরে আগ্নেয়াস্ত্র, দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হাজার হাজার মানুষের সামনে গুলি চালিয়েছে। শহরে অনেকে খুন হয়েছে। এ খুনের দায় থেকে তারা রেহাই পাবেন না। তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে বলতে চাই, তাদের গ্রেপ্তার করে আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করুন। তাদের বিচারের আওতায় নিয়ে আসুন। তাদের সন্ত্রাসী বাহিনীকে গ্রেপ্তার করুন, তাদের অস্ত্র উদ্ধার করুন। চাষাড়া-চানমারীতে অপারেশন চালালে বুঝতে পারবেন শামীম ওসমানের বাহিনীর কত অস্ত্র। এদের গ্রেপ্তার করুন। তাহলে নারায়ণগঞ্জে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ, কোন অন্যায় থাকবে না। হিন্দু, মুসলিম খ্রিষ্টান সবাই আমরা বাংলাদেশের নাগরিক। সকলে মিলে মিশে বসবাস করে আসছি। আগামীতেও একে অপরকে সহযোগিতা করে আমরা সুন্দর সমাজ গড়ে তুলবো। সংখ্যালঘু ভাইয়েরা আমার, আপনাদের কেউ হয়রানী করলে প্রশাসনকে জানাবেন, আমদের জানাবেন, আমরা তাদের বিরুদ্ধে কঠোর একশন নেব।

মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খান এর সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপুর সঞ্চালনায় কর্মসূচীতে আরও উপস্থিত ছিলেন মহানগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক এড. জাকির হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মনির হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এড. সরকার হুমায়ুন কবির, মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম সজল, মহানগর মহিলা দলের সভানেত্রী দিলারা মাসুদ ময়না প্রমুখ।

RSS
Follow by Email