আইভীকে গ্রেপ্তারে বাধা: সাংবাদিক জিসানসহ আটক ৩ জনের জামিন নামঞ্জুর
লাইভ নারায়ণগঞ্জ: সাবেক মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভীকে গ্রেপ্তারে বাধা ও পুলিশের উপর হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় আটক সাংবাদিক জান্নাতুল ফেরদৌস জিসানের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেছে আদালত। বুধবার (১৪ মে) দুপুরে শুনানী শেষে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হায়দার আলী এ আদেশ দেন।
একই মামলায় আটক জিসানের বাবা মো. হানিফ (৫০) ও চাচা শওকত মিথুনের (৩৬) জামিন আবেদন করলেও আদালত নাকচ করেছে।বিষয়টি নিশ্চিত করে আদালত পুলিশের পরিদর্শক কাইউম খান।
তাদের পক্ষে আদালতে জামিন শুনানিতে অংশ নেন অ্যাডভোকেট আওলাদ হোসেন ও নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট মাহবুবুর রহমান মাসুম। গণমাধ্যমে তিনি বলেন, ‘আমরা আদালতে জামিনের প্রার্থনা করেছিলাম। জিসান একজন সাংবাদিক এবং গত বছরে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে তার সক্রিয় ভূমিকা ছিল। মিথুনের ভিডিও গুলো আন্দোলনকারীদের অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে। এই আসামিদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ নাই।’
তিনি আরও বলেন, ‘এই মামলায় ৫২ জনের নাম উল্লেখ করে ১৫০-২০০ জনকে আজ্ঞাস আসামি করা হয়েছে। কিন্তু আমার আসামিদের বিরুদ্ধে কোনো পার্ট-প্লে নাই, ৩২৩ ধারারও স্পেসেফিক কোনো অভিযোগ নাই। পুলিশ যে ধারাটি দিয়েছে তাদের গুরুতর আহতের কোনো সার্টিফিকেটও নাই। তাছাড়া, সিসি ক্যামেরার কোনো ফুটেজ বা আমাদের সেখানে উপস্থিত বা সম্পৃক্ততার কোনো এভিডেন্স রাষ্ট্রপক্ষ আদালতে উপস্থিত করতে পারেন নাই। তাদের বিরুদ্ধে গড় অভিযোগ তারা আওয়ামী লীগের কর্মী। অথচ তারা বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিক হিসেবে তারা মাঠে ছিল, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা রেখেছিল। কিন্তু আদালত বিষয়গুলো জামিনের বিষয়ে বিবেচনায় নেয় নাই। জিসানের ২১ তারিখে ভর্তি পরীক্ষা, সেই পরীক্ষার বিষয়েও উপস্থাপন করেছি। এবং এই মামলার একজন আসামি অন্তঃসত্ত্বা নারী, তার বাড়ি শহীদনগর। যার বাড়ি ঘটনাস্থল থেকে কয়েক মাইল দূরে। তার বিষয়েও বিজ্ঞ আদালতে উপস্থাপন করেছি। ডেইলি স্টারসহ বিভিন্ন পত্রিকার সংবাদ আদালতে উপস্থাপন করেছি। কিন্তু আদালত এসব বিবেচনায় নেয় নাই। আমরা ন্যায়বিচার পাই নাই’
প্রসঙ্গত, এর আগে গত সোমবার (১২ মে) দিবাগত রাতে নগরীর শহীদনগর এলাকার নিজ বাসা থেকে গ্রেপ্তার হন জান্নাতুল ফেরদৌস জিসান (২১)। তিনি স্থানীয় অনলাইন পোর্টাল ‘প্রেস নারায়ণগঞ্জ’র সংবাদদাতা এবং প্রথম আলো পত্রিকার পাঠক সংগঠন বন্ধুসভার পরিবেশ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক।