অবশেষে না.গঞ্জ-৪ আসনে বিএনপি জোটের প্রার্থী মনির কাসেমী
সকল জল্পনা–কল্পনার অবসান ঘটিয়ে নারায়ণগঞ্জ–৪ আসনে বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোটের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পেয়েছেন জেলা জমিয়েত উলামা ইসলামের সভাপতি মুফতি মনির হোসেন কাসেমী।
সোমবার দুপুরে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে জোটের প্রার্থী হিসেবে নারায়ণগঞ্জ–৪ আসনের জন্য তার নাম ঘোষণা করা হয়। জেলার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই আসনে অবশেষে জোটবদ্ধভাবে তাকে মনোনয়ন দেওয়ায় রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়েছে।
নাম ঘোষণার পরপরই মনির কাসেমী শিবিরে বইছে আনন্দের বন্যা। তবে হতাশা বিরাজ করছে বিএনপি নেতাকর্মীদের মাঝে। কারন এই আসনে বিএনপির হাইপ্রোফাইল একাধিক নেতা মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন। এরা হলেন সাবেক দুই এমপি <span;>বীর মুক্তিযোদ্ধা মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন ও<span;> মোহাম্মদ আলী , জেলা বিএনপির সাবেক সিনিয়র সহ সভাপতি মোহাম্মদ শাহ আলম, জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মাশুকুল ইসলাম রাজীব, জেলা যুবদলের সদস্য সচিব মশিউর রহমান রনি।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মুফতি মনির হোসেন কাসেমী জোটবদ্ধ হয়ে বহুল আলোচিত ও সমালোচিত প্রভাবশালী প্রার্থী শামীম ওসমানের বিরুদ্ধে নির্বাচন করেন।
৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থন আন্দোলনে তিনি (কাসেমী) সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। আন্দোলনকে ত্বরান্বিত ও বেগবান করতে মাদ্রাসার ছাত্র ও সাধারণ জনগণকে সঙ্গে নিয়ে ঢাকার রাজপথে সোচ্চার ছিলেন তিনি।
স্বৈরাচার সরকারের পতনের পর গত দেড় বছর ধরে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষিত ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ফতুল্লায় গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন মুফতি মনির হোসেন কাসেমী। নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ করার পাশাপাশি দলকে সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী করতে তার এই নিরলস প্রচেষ্টার ফলশ্রুতিতেই তিনি দলীয় মনোনয়ন লাভ করেছেন বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
এখন দেখার বিষয়, আসন্ন নির্বাচনে এই মনোনয়নকে কতটা কার্যকরভাবে কাজে লাগিয়ে তিনি নির্বাচনী বৈতরণি পার হতে পারেন।
<span;>
