অপরাধীকে ছাড় দিবেন না, তবেই সমাজে মাদক-সন্ত্রাস থাকবে না: সেলিম ওসমান
লাইভ নারায়ণগঞ্জ: বন্দরে উপজেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটি‘র মাসিক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১ টায় উপজেলা পরিষদের অডিটরিয়ামে এ সভার আয়োজন করা হয়। উপজেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা এমএ মুহাইমিনুল আল জিহান এর সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য একেএম সেলিম ওসমান।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে সেলিম ওসমান বলেন, আমাদের সব কাজ রেখে একটা জিনিস দেখতে হবে যে, কোন অবস্থাতেই যেন দ্রব্যমূল্যের দাম বৃদ্ধি না হয়। আমরা মনে করি বাংলাদেশের হয়তো জিনিসপত্র দাম বেড়ে গেছে, কিন্তু আশপাশের দেশগুলো ঘুরে দেখা যাবে যে বাংলাদেশের থেকেও সেখানে জিনিসপত্রের দাম অনেক বেশি। ডিজিটাল বাংলাদেশ বলতে কি বুঝায় সেটা হয়তো আমরা অনেকেই জানিনা। আমাদের এ বিষয়গুলোকে নিয়ে অনেক বেশি কাজ করতে হবে। যেহেতু আমরা একটা স্মার্ট বাংলাদেশের দিকে যাচ্ছি আমাদের অনেকেই অনেক কিছু জানতে হবে। কিছুদিন আগে আমি একটা স্কুলে গিয়েছিলাম, সেখানে হেডমাস্টার সাহেব ভাষা আন্দোলন এবং আমাদের বাংলাদেশের ইতিহাস নিয়ে খুব সুন্দর কথা বলছিলেন। আমি হেডমাস্টার কে ইতিহাস সম্বন্ধে দুইটি প্রশ্ন করেছিলাম কিন্তু তিনি উত্তর দিতে পারেনি। তিনি হয়তো টক শো দেখে দেখে ইতিহাস জেনেছেন। আমরা যদি আমাদের বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস, ভাষ্য আন্দোলন, ৬ দফা এই ইতিহাস সম্বন্ধে আমরা না জানি তাহলে আমরা সামনের দিকে আগাবো কিভাবে। একদিকে ২৬ বছর অন্যদিকে ২০০ বছরে আমাদের দেশ পরাধীন ছিলো। মুক্তিযুদ্ধের সময় আমরা জীবনের পরোয়া করিনি, মুক্তিযুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়েছি। এদেশের জন্য স্বাধীনতা ছিনিয়ে এনেছি।
তিনি বলেন, পুলিশরা কোন কাজ করতে গেলে সেখানের নেতারা বিভিন্ন সময় ভয় দেখান, অমুকের দুলাভাই, অমুকের শালা, অমুকের আত্মীয় বলে পুলিশকে কাজ করতে দেয় না। পুলিশকে বলতে চাই অপরাধীকে অপরাধী হিসেবেই রাখবেন। তাদেরকে কোন রকম ছাড় দেবেন না। তাহলে দেখবেন সমাজের মাদক আসক্ত, সন্ত্রাস, লুটপাট ও ইভটিজিং থাকবে না। যদি কেউ অপরাধ করে তাহলে সেখানে অবশ্যই প্রশাসন ব্যবস্থা নিবে। মা-বাবা, ভাইবোন, আত্মীয়-স্বজন এরা বাসায় থাকা অবস্থায় শাসন করতে হবে। যদি তারা না পারেন, তখন প্রশাসনকেই এর ব্যবস্থা নিতে হবে। প্রশাসন ব্যবস্থা নিলে কোন অপরাধের আত্মীয় স্বজন কোন ধরনের তদবীর চালাতে পারবেন না।
মাসিক সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বন্দর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব এমএ রশিদ, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান সানাউল্লাহ সানু, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সালিমা হোসেন শান্তা, বন্দর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব কাজিম উদ্দিন প্রধান, বন্দর থানা অফিসার ইনচার্জ গোলাম মোস্তফা,বন্দর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল লতিফ, কলাগাছিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব দেলোয়ার হোসেন প্রধান,বন্দর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাজী এহসান উদ্দিন আহাম্মেদ, ধামগড় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ কামাল হোসেন, মদনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব এম এ সালাম, মুসাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাকসুদ রহমান, বন্দর উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি আব্দুল্লাহ বাবু, বন্দর প্রেসক্লাবের সভাপতি রোটারিয়ান মোবারক হোসেন কমল খান ও সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন সিদ্দিকী, বন্দর উপজেলা জাতীয় পার্টি সভাপতি মো: বাচ্চু মিয়া প্রমুখ।