রবিবার, ডিসেম্বর ২২, ২০২৪
Led04রাজনীতি

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সদিচ্ছায় ত্বকী হত্যার বিচার শুরু হয়েছে: রফিউর রাব্বি

লাইভ নারায়ণগঞ্জ: তানভীর মুহাম্মদ ত্বকী হত্যা ও বিচারহীনতার ১৩৯ মাস উপলক্ষে বিচারের দাবিতে আলোকপ্রজ্জ্বলন কর্মসূচি পালন করেছে নারায়ণগঞ্জ সাংস্কৃতিক জোটের নেতৃবৃন্দরা। মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) সন্ধ্যায় চাষাঢ়া শহীদ মিনারে এই কর্মসূচি পালন করা হয়।

এ সময় নারায়ণগঞ্জের সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদত ধীমান সাহা জুয়েলের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন- নিহত ত্বকীর পিতা রফিউর রাব্বি, নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি মাহবুবুর রহমান মাসুম, সন্ত্রাস নির্মূল ত্বকী মঞ্চের সদস্যসচিব হালিম আজাদ, সিপিবির জেলা সভাপতি হাফিজুল ইসলাম, গণসংহতি আন্দোলনের জেলা কমিটির সমন্বয়কারী তরিকুল সুজন, বাসদ সদস্য সচিব আবু নাঈম খান বিপ্লব প্রমুখ।

কর্মসূচিতে রফিউর রাব্বি বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সদিচ্ছার কারণে ত্বকী হত্যার বিচার আবার শুরু হয়েছে। আমরা তাদের সাধুবাদ জানাই। ইতিমধ্যে র‌্যাব ৬জনকে গ্রেফতার করেছে। আমরা শুরু থেকে বলে আসছি, এই ত্বকী হত্যার পিছনে শামীম ওসমান, তার ছেলে অয়ন ওসমান ও ভাতিজা আজমেরী ওসমান রয়েছে। ২০১৪ সালে র‌্যাব এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছে, আজমেরী ওসমানের নেতৃত্বে ১১জন ত্বকীকে হত্যা করেছে। সেই সময়ে র‌্যাবের ডিজি ছিলেন কর্নেল মুজিব। সে ছিলো শামীম ওসমানের ঘনিষ্ট। আর তাই আজমেরী ওসমানের নাম চার্জশীটে অন্তরভুক্ত করেনি। র‌্যাব যদি ২০১৩ সালের তদন্তের মধ্যে আবদ্ধ থাকতে চান তাকলে এটি ঠিক হবে না। সে জন্য আমরা স্পষ্ট ভাবে বলছি, এই হত্যাকান্ডের সাথে যে যে জরিত সকলকে এর সাথে অন্তুরভুক্ত করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, আমরা শুনছি তাদের পরিবারের সকলে পালিয়ে গেছে। তারা যদি পালিয়ে যায়, তাহলে কারা তাদের পালিয়ে যেতে সাহায্য করলো। নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন স্থানে শামীম ওসমানের লোকজন বসে আছে। নারায়ণগঞ্জে সাংবাদিক-আইনজীবীদের মধ্যে তার লোক বসে আছে। তার লোকজন এখনো গ্রেফতার হয়নি। এইযে দশ-বিশটা হত্যাকান্ডের পরেও তাদের গ্রেফতার করা হয় নাই, বরং প্রশাসন তাদের পাহাড়া দিয়ে রেখেছিলো। এই অবস্থার পরিবর্তন হয়েছে আমরা কিভাবে বুঝবো। সুতরাং এর দৃশ্যমান কিছু পরিবর্তন আমাদের সামনে আসতে হবে।

RSS
Follow by Email