অণ্ডকোষে আঘাত করে স্বামী হত্যার অভিযাগে ২য় স্ত্রী কারাগারে
লাইভ নারায়ণগঞ্জ: সোনারগাঁয়ে অণ্ডকোষে আঘাত করে এক স্বর্ণালংকার তৈরির কারিগরকে হত্যার অভিযোগে উঠেছে। শুক্রবার রাতে নিহতের বড় বোন রাজিয়া বেগম বাদী হয়ে নিহত শাহজাহানের দ্বিতীয় স্ত্রী রহিমা বেগমের নামে মামলা দায়ের করেন। শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সকালে তাকে আদালতে পাঠায় পুলিশ।
নিহতের নাম শাহজাহান। সে চাঁদপুরের মৃত শহীদ ভাণ্ডারীর ছেলে। তিনি বর্তমানে কাঁচপুর সোনাপুর এলাকার আক্কাস আলীর ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করতেন। তিনি কাঁচপুর লাভলি সিনেমা হলের সামনে একটি স্বর্ণের দোকানের কারিগর হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
এদিকে নিহত শাহজাহানের মরদেহ নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। বিকেলে তার মরদেহ গ্রহণ করেন বোন রাজিয়া বেগম। তার লাশ চাঁদপুরের শাহরস্তি এলাকায় নেওয়া হয়। সেখানে তাকে দাফন করা হবে। তথ্যটি লাইভ নারায়ণগঞ্জকে নিশ্চিত করেছে সোনারগাঁ থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) মোহাম্মদ আহসান উল্লাহ।
মামলা সূত্রে জানা যায়, নিহত শাহজাহান দ্বিতীয় বিয়ে করে কাঁচপুর এলাকায় রহিমা বেগমকে নিয়ে বসবাস করে আসছিলেন। কাঁচপুরের বাসায় শাহজাহানের প্রথম স্ত্রী রোজিনা বেগম প্রায় যাতায়াত করতেন। গত শুক্রবার দুপুরে প্রথম স্ত্রী রোজিনা বেগম বাসায় গিয়ে শাহজাহানের সঙ্গে দুপুরের খাবার খেয়ে বিশ্রাম নিচ্ছিলেন। ছোট স্ত্রী রহিমা বেগম এ খবর পেয়ে ক্ষিপ্ত হয়ে বাসায় ফিরে তার স্বামীর সঙ্গে কথাকাটাকাটি এক পর্যায়ে হাতাহাতি শুরু করেন। বড় স্ত্রী রোজিনা বেগম তাদের ঝগড়া থামাতে না পেয়ে বাড়ির মালিককে ডাকতে বাইরে যান। পরে ঘরে এসে শাহজাহানের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন। বড় স্ত্রী রোজিনার দাবি, তার স্বামীকে দ্বিতীয় স্ত্রী রহিমা বেগম অণ্ডকোষে আঘাত করে হত্যা করেছেন। এ ঘটনার পরে শাহজাহানকে কাঁচপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে শাহজাহানের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। ওই সময় ঘটনাস্থল থেকে দুই স্ত্রীকে পুলিশ আটক করে থানায় নেয়। প্রথম স্ত্রী রোজিনা বেগম এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত না থাকায় তাকে রাতেই জিজ্ঞাসাবাদ করে ছেড়ে দেওয়া হয়। আর ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে দ্বিতীয় স্ত্রী রহিমা বেগমকে নারায়ণগঞ্জ আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়।
সোনারগাঁ থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) মোহাম্মদ আহসান উল্লাহ বলেন, স্বর্ণের কারিগর হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মামলা হয়েছে। এ মামলায় অভিযুক্তকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। নিহত শাহজাহানের মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে শনিবার বিকেলে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।