মঙ্গলবার, ডিসেম্বর ২৪, ২০২৪
Led02পরিবহনসদর

‘অচল নারায়ণগঞ্জ সচল করো’ অঙ্গিকার নিয়ে রাস্তায় শিক্ষার্থীরা

লাইভ নারায়ণগঞ্জ: যানযটের কারণে প্রায় অচল নারায়ণগঞ্জ শহরকে সচল করার লক্ষ্যে মাঠে নেমেছে শিক্ষার্থীরা। এরই ধারবাহীকতায় রোববার (১ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টা থেকে শহরের বিভিন্ন অবৈধ স্ট্যান্ডে অপসারণের কার্যক্রম শুরু করেন তারা। বিভিন্ন স্ট্যান্ডে গিয়ে পরিবহন চালকদের সাথে কথা বলে, তাদের বুঝিয়ে সেখান থেকে সরিয়ে দেন তাদের। পাশাপাশি সিটি কর্পোরেশন কর্তৃক যে বৈধ স্ট্যান্ড রয়েছে সেখানে তাদের বসার অনুরোধ করেন উপস্থিত ছাত্ররা।

এদিন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন নারায়ণগঞ্জ জেলার প্রধান সমন্বয়ক ও জেলা ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি ফারহানা মানিক মুনার নেতৃত্বে একদল শিক্ষার্থীরা এই অবৈধ স্ট্যান্ড অপসারণের কার্যক্রম পরিচালনা করে। এক্ষেত্রে তারা সড়কে কর্মরত ট্রাফিক পুলিশদের সাথে কথা বলেন এবং কিভাবে শিক্ষার্থীরা শহরের যানযট নিরসনে তাদের সাহায্য করতে পারে সে উপদেশ চান।

এসময় জেলা ট্রাফিকের টিআই করিম ছাত্রদের বলেন, আমরা আমাদের সাধ্য মতো চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। তবে, সিটি কর্পোরেশন, জেলা প্রশাসন ও জেলা পুলিশ একসাথে মিলে কাজ করলে এই সমস্যার সমাধান আরও দ্রুত এবং কার্যকর হবে। আপনারা কিছুটাদিন আমাদের সাথে কাজ করে আমাদের সাহায্য করুন দেখবেন নারায়ণগঞ্জ সচল হয়ে গেছে।

এদিকে, সকাল ১১টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা নগরীর চাষাঢ়া শহীদ মিনারের পাশের অবৈধ সিএনজি স্ট্যান্ড, মহিলা কলেজ সংলগ্ন অবৈধ অটো স্ট্যান্ড, সুগন্ধা বেকারি সংলগ্ন অবৈধ অটো ও সিএনজি স্ট্যান্ড, খাজা সুপার মার্কেট সংলগ্ন অবৈধ লেগুনা স্ট্যান্ড, সমবায় মার্কেট সংলগ্ন অবৈধ সিএনজি স্ট্যান্ডে গিয়ে চালকদের সাথে কথা বলে শিক্ষার্থীরা। তারা চালকদের বুঝায় যে এটা অবৈধ। আপনাদের জন্য বৈধ স্ট্যান্ডের ব্যবস্থা করা হয়েছে সেখানে গিয়ে আপনারা বসুন। এসময় পুরো চাষাঢ়া জুড়ে শিক্ষার্থীরা মাইকিং করে।

এছাড়া, শিক্ষার্থীরা নগরীতে চলাচলকৃত বিভিন্ন বাসের রুট পারর্মিট চেক করে। পরে ১নং রেল গেট এলাকায় অবস্থিত বিভিন্ন বাস কাউন্টার পরিদর্শন করে রুট পারমিট বিহীন গাড়ি সড়কে না নামানোর জন্য অনুরোধ করে শিক্ষার্থীরা।

কার্যক্রম শেষে ফারহানা মানিক মুনা সাংবাদিকদের বলেন, আমরা স্থবির নারায়ণগঞ্জকে গতিশীল করতে চাই। আমরা বাস মালিকদের বলেছি যে, রুট পারমিট বিহীন গাড়ি যাতে সড়কে না নামায়। বর্তমানে সড়কের চেয়ে যানবাহনের সংখ্যা অনেক বেশি। এগুলোর মধ্যে বড় একটি অংশের রুট পারমিট ও ফিটনেস নাই। এরকম গাড়িকে অবৈধ বলে ঘোষণা করা হয়, আর এসব গাড়ির জায়গা রাস্তায় না এগুলোর জায়গা ডাম্পিং এ। সকাল থেকে আমরা সড়কে আছি। আমরা শহরের ট্রাফিক পুলিশের সাথে কথা বলেছি। তাদের বলেছি যে, আমরা এক সাথে হয়েই নারায়ণগঞ্জকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবো। আমরা বিভিন্ন স্ট্যান্ডে গিয়ে চালকদের বুঝিয়েছি, তারাও আমাদের ডাকে সাড়া দিয়েছেন এবং বলেছেন যে তারা তাদের গাড়ি সরিয়ে নিবেন। ইতিমধ্যেই অনেকে সরিয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, আমরা মুলত দুইটি কাজ নিয়ে রাস্তায় নেমেছি। একটি হলো, রুট পারমিট ও ফিটনেস নাই এমন গাড়ি গুলো রাস্তা থেকে সরিয়ে ডাম্পিং এর ব্যবস্থা করা। দ্বিতীয় হলো, অবৈধ যে স্ট্যান্ডগুলো রয়েছে সেগুলোকে উচ্ছেদ করা। পরিবহন মালিক-শ্রমিক, নারায়ণগঞ্জের প্রশাসন ও আমরা এক সাথে কাজ করতে পারলে, এই নারায়ণগঞ্জকে অচল থেকে সচল করতে পারবো।

শিক্ষার্থীদের এই কার্যক্রম অব্যহত থাকবে বলেও জানান ফারহানা মানিক মুনা।

RSS
Follow by Email