মঙ্গলবার, ডিসেম্বর ৩, ২০২৪
Led05অর্থনীতিবিশেষ প্রতিবেদন

সরকারী নির্দেশেও না.গঞ্জে কমেনি আলু-পেঁয়াজের দাম

গোলাম রাব্বি, লাইভ নারায়ণগঞ্জ: সরকার আলু, পেঁয়াজ ও ডিমের দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে। বেঁধে দিয়েছে নির্দেশ কার্যকর করার সময়সীমা। তারপরেও প্রতিকেজি আলুতে অন্তত ১৪ টাকা, পেঁয়াজে ২০ থেকে ২৫ টাকা বেশি দিতে হচ্ছে ক্রেতাকে।

ভোক্তারা বলছেন, ‘মূল্য নির্ধারণ করলেও মনিটরিং না থাকায় সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হচ্ছে না’।

আর জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের নারায়ণগঞ্জ জেলা সহকারী পরিচালক মো. সেলিমুজ্জামান বলছেন, ‘নির্দেশ প্রচারণার অভাবে ব্যবসায়ীরা পূর্বের দামেই আলু-পেঁয়াজ বিক্রি করছে। লোকবল সংকটের কারণে মনিটরিং করা সম্ভব হচ্ছে না’।

নারায়ণগঞ্জের দ্বিগুবাবুর বাজার ঘুরে সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) এমন চিত্র উঠে আসে অনলাইন নিউজ পোর্টাল লাইভ নারায়ণগঞ্জের এই প্রতিবেদকের সামনে।

নিত্যপ্রয়োজনীয় কৃষিপণ্যের উৎপাদন, চাহিদা ও মূল্য পরিস্থিতি পর্যালোচনা সভাশেষে গত ১৪ সেপ্টেম্বর সাংবাদিকদের বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি জানান, পেঁয়াজ, আলু ও ডিমের দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে সরকার। নির্ধারিত দামে বিক্রির সময় বেঁধে দেওয়া হয় ১৭ সেপ্টম্বর থেকে। খুচরায় প্রতি কেজি আলুর দাম ৩৫ থেকে ৩৬ টাকা, দেশি পেঁয়াজ ৬৪ থেকে ৬৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়।

নারায়ণগঞ্জের দ্বিগুবাবুর বাজার সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, ৩৫ থেকে ৩৬ টাকা নির্ধারিত আলু বিক্রি হচ্ছে ৪২ থেকে ৪৪ টাকা কেজিতে। সরকার নির্ধারিত ৬৪ থেকে ৬৫ টাকা কেজির দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা কেজিতে। তবে, এর চেয়েও বেশি দামে বিক্রির অভিযোগ জেলার অন্যান্য বাজার ও দোকানে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, আলু বিক্রি হয় ৫০ টাকা ও পেঁয়াজ ৯০ টাকায়। যা সরকার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে কেজি প্রতি আলুতে অন্তত ১৪ টাকা বেশি দিতে হচ্ছে। একই ভাবে দেশি পেঁয়াজে ২০ থেকে ২৫ টাকা বেশি। আর আমদানি করা পেঁয়াজের খুচরা দাম পড়ছে মানভেদে ৬০ থেকে ৭০ টাকা।

বাজার করতে আসা রুহুল আমিন জানান, ‘টিভি খুলতেই দেখি সরকার ৩৬ টাকা কেজি আলু আর ৬৪ টাকা দেশি কেজি পেঁয়াজের দাম বেঁধে দিয়েছে। কিন্তু বাজারে সেই কিনতে গিয়ে তো ওই দামে পাই না। আমার মনে হয়, সরকার দাম বেঁধে দিলেও সঠিক মনিটরিং না থাকায় এমনটা হচ্ছে।’

নারায়ণগঞ্জের বাজার গুলোতে সবচেয়ে বেশি আলু আসে মুন্সিগঞ্জ, বগুড়া, রংপুর ও দিনাজপুর থেকে।

দ্বিগুবাবুর বাজারের আলু ব্যবসায়ী আলেক চান লাইভ নারায়ণগঞ্জকে জানান, বগুড়াতে প্রতিকেজি আলুর দাম ৩৫ টাকা কেজি। মুন্সিগঞ্জের আলু আরও দু’একটা টাকা বেশিতে কিনতে হচ্ছে। এরপর গাড়ি ভাড়া, দোকান ভাড়া দিয়ে আলুর দাম বেড়ে যাচ্ছে। তাই বাড়তি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। আলুর দাম কমাতে হলে হিমাগার থেকে কমাতে হবে।

অপর আলু ব্যবসায়ী সবুজ জানান, চলতি বছরও ১২ টাকা কেজিতে আলু কিনেছি। বিক্রি করেছি ১৫ থেকে ১৬ টাকায়। প্রতি কেজি আলুতে হিমাগারে সংরক্ষণের খরচ ৫ টাকা। তাহলে কি করে সেই আলু হিমাগারে বিক্রি হয় ৩৬-৩৭ টাকা। প্রতিটি হিমাগারের সাথে কিছু বড় বড় ব্যাপারী জড়িত। তারাই মূলত আলুর দাম বাড়াচ্ছে। আমরা কিনে এনে দাম চাওয়ায় বিক্রেতাদের সাথে ঝগড়াও বেঁধে যাচ্ছে।

প্রচারণা ও মনিটরিং বৃদ্ধির বিষয়ে জানতে চাইলে নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মৌসুমী বাইন হীরা লাইভ নারায়ণগঞ্জকে জানান, প্রতিদিনই বাজার গুলোতে ম্যাজিষ্ট্রেট যাচ্ছে। মনিটরিংও করা হচ্ছে।

RSS
Follow by Email