বৃহস্পতিবার, ডিসেম্বর ২৬, ২০২৪
Led02রাজনীতি

বিদ্রোহ সামলে সাখাওয়াত-টিপুর এগিয়ে চলা

লাইভ নারায়ণগঞ্জ: কমিটি ঘোষণার শুরুতেই চরম ধাক্কা। প্রথম সপ্তাহেই বড় বড় বেশ কয়েকজন পদত্যাগ করেন। বইতে থাকে সমালোচনার ঝড়। সংশয় দেখা দেয়, ঘোষিত আহ্বায়ক কমিটির সক্ষমতা নিয়ে। প্রশ্ন উঠে, পারবে কী বিরোধীদলের নানা দাবিতে নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ করে রাজপথে টিকে থাকতে? সমালোচনা আর বিদ্রোহ সামলে একে একে কেন্দ্রীয় কর্মসূচীর পাশাপাশি নারায়ণগঞ্জে বিএনপির সকল কর্মসূচী দক্ষতায় সফলতার মুখ দেখে সাখাওয়াত-টিপুর নেতৃত্বে মহানগর বিএনপি। তাদের কৌশল আর দৃঢ়তায় উজ্জ্বিবিত নেতাকর্মীদের রাজপথে ঐক্য প্রতিপক্ষসহ নিজদলের ষড়যন্ত্রকারীদের ভীত নাড়িয়ে দেয়। প্রায় এক বছর হতে চলছে, সরকারী দল- প্রশাসন ও নিজদলের বিদ্রোহীদের সামলে রাজপথে নিজেদের জানান টা বেশ ভালো ভাবেই দিয়ে এগিয়ে চলছে সাখাওয়াত-টিপু। আর তাতে প্রতিনিয়ত নিজদলেরই কয়েকটি ছোট ছোট গ্রুপের শত্রুতে পরিণত হওয়ার অভিযোগও উঠছে।

মহানগর বিএনপির বিভিন্ন ওয়ার্ড ও শীর্ষনেতাদের সাথে আলাপ করে এমন নানা তথ্য উঠে আসে। তৃণমুল ও সহযোগী সংগঠনদের ঐক্যবদ্ধ করে বিশাল বিশাল মিছিল-মিটিং এর মাধ্যমে বিএনপির আন্দোলনকে গতিশীল করতে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করছেন সাখাওয়াত-টিপুর নেতৃত্বে মহানগর বিএনপি। এক্ষেত্রে শুধু নিজ দলের বিদ্রোহীদের নয় বরং ক্ষমতাশীনদের চোখ রাঙ্গানি উপেক্ষা করতে হচ্ছে তাদের।

বিএনপির রূপরেখা বাস্তবায়নে ঢাকার পার্শ্ববর্তী জেলা হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা বহন করে নারায়ণগঞ্জ। এরই ধারবাহীকতায় আন্দোলন-সংগ্রাম বেগবান করতে ২০২২ সালের ১৩ সেপ্টম্বর ঘোষণা করা হয় মহানগর বিএনপির ৪১সদস্য বিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি। তবে, কমিটি ঘোষণার প্রথম সপ্তাহেই পদত্যাগ করেন আবদুস সবুর সেন্টু, হাজী নূর উদ্দিন, আতাউর রহমান মুকুলসহ বেশ কয়েকজন।

তবে, বিএনপির একাধিক নেতার অভিযোগ পদত্যাগকারী বেশির ভাগ নেতাদের সাথে রয়েছে ক্ষমতাশীনদের সু-সম্পর্ক। পাশাপাশি কমিটিতে সুযোগ পায়নি এমন অনেক বিএনপির প্রভাবশালী নেতাও সমর্থন দেয় মহানগর বিএনপির এই বিদ্রোহী গ্রুপকে। সব মিলে শুরু থেকেই চাপের মধ্যে থেকে কেন্দ্র ঘোষিত বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করতে হয় মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির।

তবে, সাখাওয়াত-টিপুর নেতৃত্বে দিন দিন পাল্টাতে থাকে দৃশ্যপট। কেন্দ্রীয় নেতাদের সাথে পরামর্শ এবং নিজেদের বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিয়ে গোছাতে শুরু করে মহানগর বিএনপির পাশাপাশি অঙ্গসংগঠনের কমিটিও। ধিরে ধিরে চাপে পরতে থাকে বিদ্রোহীরা। অন্য দিকে, ধারাবাহীক কর্মসূচিতে চমক দেখাতে শুরু করে মহানগর বিএনপির মূল কমিটি।

কমিটি ঘোষণার পর থেকে প্রায় শতাধীক কেন্দ্রীয় কর্মসূচি পালন করেছে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপি। কখনো কখনো নেতাকর্মীদের নিয়ে ঢাকার রাজপথেও দাপরে বেড়িয়েছেন মহানগর বিএনপির নেতাকর্মীরা সাখাওয়াত-টিপুর নেতৃত্বে। এসব করতে গিয়ে বিভিন্ন সময় মাইনাস ফমুর্লার মধ্যেও পরতে হয়েছে মহানগর বিএনপির দুই কর্নধার এড. সাখাওয়াত ও এড. টিপুকে।

সর্বশেষ গত ৩০ আগস্ট আন্তর্জাতিক গুম প্রতিরোধ দিবস উপলক্ষে মহানগর বিএনপির মৌন মিছিল কর্মসূচিতে হামলা চালায় মহানগ যুবদল নেতা জোসেফ ও তার বাহিনী। পদবঞ্চিত হয়ে ওই হামলার করা হয় বললেও, তাদের মুল টার্গেট ছিলো মহানগর বিএনপির কর্মসূচি পন্ড করা। এমন অভিযেগ নেতাদের।
ওই হামলায় নেতাকর্মীদের বাঁচাতে গিয়ে আহত হন মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপুসহ বিএনপির আরও ১০-১২জন।

এড. টিপুর অভিযোগ, হামলাকরীরা আওয়ামী লীগের এজেন্ট হয়ে মাঠে নেমেছে। তিনি বলেন, মহানগর যুবদলের মাজাহারুল ইসলাম জোসেফের নেতৃত্বে হামলার ঘটনাটি ঘটিয়েছে। এর ইন্ধন দিয়েছে আওয়ামী লীগ। কেননা, যারা তারেক রহমানের ঘোষিত কর্মসূচি পন্ড করতে নিজ দলের লোকেদের উপর হামলা করে, তারা বিএনপির হতে পারে না।

তবে, এতো কিছুর পরও সাখাওয়াত-টিপুর নেতৃত্বে মহানগর বিএনপির কমিটি একটি বছর দারুন সফলতা পেয়েছেন বলে জানাচ্ছেন তৃণমূল নেতাকর্মীরা।

RSS
Follow by Email