শনিবার, ডিসেম্বর ২১, ২০২৪
Led04জেলাজুড়েরাজনীতিসদরস্বাস্থ্য

‘বস্তির জায়গায় বিশাল হাসপাতাল না হয়ে গোডাউন ভাড়া দেওয়া হচ্ছে’

লাইভ নারায়ণগঞ্জ : এখানে আরেকটা হাসপাতাল করার কথা। সেখানে বস্তি ছিলো, বস্তি ওঠে না তাই হাসপাতালও হয় না। প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধন করলেন, আমরা সবাই গেলাম। অনেক দিন সেখানে বস্তিবাসী ছিলো, আমি তাদের কাছে গেলাম, কথা বললাম। নারায়ণগঞ্জের মানুষ অবরোধ করলো, এরপর আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে নিয়ে বস্তিবাসীর সাথে আলোচনা করলাম। তাদের কয়েক মাসের খরচ দরকার। আমি আমার পকেট থেকে বাজার করে দিলাম, কয়েক মাসের বাড়ি ভাড়া দিলাম। তারা বস্তি ছেড়ে দিলো। আর সেই বস্তিতে হাসপাতাল না হয়ে এখন বড় বড় গোডাউন আর মিল হয়েছে, সেগুলো ভাড়া দেওয়া হচ্ছে। এত বড় আয়োজন কীভাবে নাই হয়ে গেল, আমি জানি না। এটা অনেক বড় হাসপাতাল হওয়ার কথা ছিলো। যাই হোক, মানুষ কথা দিয়ে কথা রাখে না এটা আমাদের কালচার।

মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি ) দুপুরে সদর থানার পাশে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থী একেএম সেলিম ওসমান তার প্রধান নির্বাচনী ক্যাম্পে নতুন প্রজন্মের ভোটারদের সাথে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন।

আমাদের নারায়ণগঞ্জে দুটো বড় হাসপাতাল, একটা ভিক্টোরিয়া হাসপাতাল আরেকটা ৩০০ শয্যা হাসপাতাল। যখন ক্ষমতায় আসি, তখন ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে রোগীদের জন্য পানি নাই। তাদের বাইরে থেকে পানি টেনে আনতে হতো। আমাদের পানি নাই কারণ কল নাই। কল বসালে সেই কল চলে যায়, টেন্ডারবাজি হয়। আমি ব্যক্তিগত খরচে কল বসালাম, পানি যেন সব সময় থাকে। এখন নতুন ডেকোরেশন করে রোগীদের কিছু সেবা দেওয়ার ব্যবস্থা হয়েছে। রোগীরা আর ফিরে যায় না, কিছু চিকিৎসা হয়। রোগীদের খাবারের মুরগির মাথা নাই, গলা নাই, কলিজা নাই, মুরগি নাই। চোর চোর আর চোর! ফেড আপ হয়ে গেলাম। সিসিটিভি লাগালাম, সেটাও চুরি হয়ে যায়। দারোয়ান রাখলাম, দারোয়ানই চুরি করে। সরকারি ওষুধ চুরি করে। আমি তখনকার স্বাস্থ্যমন্তী মোহাম্মদ নাসিমের কাছে গেলাম, একটা সাদা কাগজে সমস্যাগুলো লিখে নিয়ে। উনি আদেশ দিলেন পরের দিন সকালেই যেন সেখানে যেয়ে সমস্যা কী সেটা বের করে সমাধান করতে। এখান থেকে দেখে যাওয়ার পর আমি আবার সাথে রিটার্ন করলাম। তখনই অর্ডার হলো, এটা ৩০০ শয্যা থেকে ৫০০ শয্যা হাসপাতাল করার। ৫০০ শয্যা হাসপাতাল মানেই একটা মেডিকেল কলেজ, আমরা সবাই অনেক খুশি। এমন লোকই টেন্ডার নিলো, সে ঢাকায় জুয়ায় জর্জরিত। টেন্ডারের কাজ বন্ধ হয়ে গেলো, এখন ধীরে ধীরে ৭ তালা পর্যন্ত হয়েছে। আমরা সবাই মিলে যদি কাজ করি, এখানে উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা হবে আর এটা একটা মেডিকেল কলেজে রূপান্তরিত হবে।

মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাসেল প্রধানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- এমপি সেলিম ওসমানের সহধর্মিনী নাসরিন ওসমান, সেলিম ওসমানের জামাতা আখতার হাসান অপূর্ব (সিআইপি), মহানগর জাতীয় পার্টির সভাপতি মোদাচ্ছেরুল হক দুলাল, কাউন্সিলর কামরুল হাসান মুন্না, ছাত্রলীগ নেতা আরাফাত কবির ফাহিমসহ বিভিন্ন কলেজের ছাত্র-ছাত্রীবৃন্দ।

 

RSS
Follow by Email