ফ্যাসিবাদী কাঠামোর পরিবর্তন ও রাষ্ট্রের সংস্কার না হলে যে লাউ সেই কদু: ভিপি নুর
লাইভ নারায়ণগঞ্জ: গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর বলেন, ‘এ ফ্যাসিস্ট গত ১৬ বছরে রাষ্ট্র কাঠামোকে যেভাবে দলীয়করণ করেছে তাতে রাষ্ট্র অকার্যকর হয়ে পড়েছিল। এই ফ্যাসিবাদী কাঠামোর পরিবর্তন না হলে, রাষ্ট্রের সংস্কার না হলে যে লাউ সেই কদু। এটা এভাবেই চলতে থাকবে। প্রশাসনে দলীয়করণের যে চিত্র আমরা দেখেছি। এটার একটা বিধিবিধান না করা হলে এটা আগের মত হয়ে যাবে। পাশাপাশি রাজনীতিতে আমরা কালো টাকা ও পেশী শক্তির যে ব্যাবহার দেখেছি এই পরিবেশটা পরিবর্তন না করলে আমরা আগামীতে অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের আশা করছি তা তো বাস্তবায়ন হবে না।’
মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে এসে সাংবাদিকদের একথা বলেন ভিপি নুর ।
এসময় তিনি আরও বলন, ‘এখন নির্বাচিত সরকার নেই। জাতীয় ঐক্য ও সকলের সমর্থনের ভিত্তিতে একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়েছে। সে সরকার রাষ্ট্র সংস্কারে বেশ কিছু কমিশন করে দিয়েছে। তারা কিছু প্রস্তাব প্রধান উপদেষ্টা কাছে দিয়েছে। তারা রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে আলোচনা করে একটা ঐক্যমতে পৌঁছাতে চেষ্টা করছে। যে বিষয়গুলোতে সকলে একমত হবে তা নিতে জুলাই সনদ করার আমরা আবেদন জানিয়েছি। মৌলিক সংস্কার গুলো এ সরকারের অধীনেই আমরা বাস্তবায়নের আবেদন জানিয়েছি। এখন সংসদ নেই। তাই একটি জাতীয় সরকার গঠন করে এ সংস্কারগুলো বাস্তবায়ন করা যেতে পারে। পাশাপাশি রাষ্ট্রপতির অধ্যাদেশের মাধ্যমে কিছু সংস্কার বাস্তবায়ন করা যেতে পারে। বাকিটা নির্বাচিত সরকার এসে বাস্তবায়ন করবে।’
গণঅধিকার পরিষদের এই নেতা আরও বলেন, ‘এখন কোন স্থানীয় সরকার নেই। জনগণের চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। তাই হয় স্থানীয় নির্বাচন করতে হবে নয়ত দ্রুত জাতীয় নির্বাচন দিয়ে দিতে হবে। সংস্কার কমিশন অনেক আলোচনায় ঐক্যমতে পৌছে গেছে। মূলত দুটি কমিশনের বিষয়ে কিছু মতভেদ রয়েছে। নির্বাচন ও সংবিধান সংস্কার কমিশন। এই কমিশনগুলোর দুই তিনটি বিষয় নিয়ে দ্বিমত রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী দুবারের বেশি থাকতে পারবে না ও ৭০ অনুচ্ছেদ নিয়ে মতভেদ চলছে। এক্ষেত্রে সরকারকে আম্পায়ারের ভূমিকায় থেকে একটি সিদ্ধান্ত নিতে হবে। আওয়ামী লীগ কামব্যাক করছে আমরা দেখছি। তারা মিছিল করছে, আমাদের বিপ্লবী ছাত্র নেতাদের উপরেও হামলা করেছে। এ আন্দোলনে নেতৃত্ব দিতে গিয়ে আমাদের জীবন এখন শংকায়। সংস্কার চলবে পাশাপাশি নির্বাচনের রোডম্যাপ সরকারকে সুনির্দিষ্টভাবে ঘোষণা করতে হবে। সরকারের সাথে সন্দেহ তৈরি হলে এটা ভাল হবে না। জামায়াত বলেছে রোজার আগে নির্বাচন, বিএনপি বলেছে ডিসেম্বরে নির্বাচন। আমরাও বলেছি ডিসেম্বরে সম্ভব হলে ডিসেম্বরেই নির্বাচন হবে। যদি আরও একমাস লাগে সেটি তারা নিতে পারে। তবে তা আলাপ আলোচনার মাধ্যমে হতে পারে। রাজনৈতিক দলগুলো ১৬ বছর আন্দোলন করেছে। নানা কারণে তারা সফলতার দিকে যেতে পারেনি। যখন সাধারণ শিক্ষার্থী ও জনতা জুলাই আন্দোলনে সম্পৃক্ত হয়েছে তখন আমরা এ সরকারের পতন ঘটাতে সক্ষম হয়েছি।’