বৃহস্পতিবার, ডিসেম্বর ২৬, ২০২৪
Led01জেলাজুড়েরাজনীতি

নির্বাচন শেষ, ‘কমিটি’ নিয়ে দৌড়ঝাঁপ পদ প্রত্যাশীদের

লাইভ নারায়ণগঞ্জ: গত ২০২২ সালে অনুষ্ঠিত হওয়া নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনে বিলুপ্ত করা হয় আওয়ামী লীগের অন্যতম দুই সহযোগী সংগঠন মহানগর ছাত্রলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের উভয় কমিটি। এছাড়া মেয়দ উত্তির্ণ অবস্থায় রয়েছে নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগ, জেলা ও মহানগর যুবলীগ এবং শ্রমিক লীগের কমিটি। জাতীয় নির্বাচনের পূর্বে ছাত্রলীগের আংশিক কমিটি গঠন করা হলেও, সম্মেলন হয়েও কমিটি হয়নি জেলা ও মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের।

এছাড়া, মেয়াদ উত্তীর্ণ অবস্থায় রয়েছে নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগ। ২০২২ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনের একদিন পরেই মহানগর আওয়ামী লীগের সম্মেলন হওয়ার কথা থাকলেও, পরে বাতিল করা হয় সেটি। সম্মেলনের সময় পরে জানিয়ে দেওয়া হবে বললেও, সেই থেকে পেরিয়ে গেছে প্রায় দেড় বছর।

এদিকে, নারায়ণগগঞ্জ জেলা যুবলীগের কমিটি এক প্রকার নেই বললেই চলে। ২০০৫ সালে জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ সভাপতি আব্দুল কাদিরকে সভাপতি ও বর্তমান জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এড. আবু হাসনাত শহীদ মো. বাদলকে করা হয় জেলা যুবলীগের সাধরণ সম্পাদক। সেই যুব নেতারা প্রবীন হতে চলেছে, তবে গঠন হয়নি নতুন কোন কমিটি। এছাড়া মহানগর যুবলীগের মেয়দও উত্তীর্ণ হয়েছে অনেক আগেই।

অন্যদিকে, নারায়ণগঞ্জ জেলা শ্রমিক লীগের কমিটি বিলুপ্ত করা হয়েছে প্রায় ৩বছর। এরপর গঠন করা হয় আহ্বায়ক কমিটি। ২০২২ সালে আহ্বায়ক কমিটি ভেঙ্গে দিয়ে সম্মেলন করার নির্দেশও দেয় কেন্দ্র। করা হয় সম্মেলন প্রস্তুত কমিটি। তবে, শেষ পর্যন্ত অজানা কারণে সম্মেলনকেও স্থগিত করে দেয়া হয়।

জানা গেছে, জাতীয় নির্বাচনের পূর্বে কমিটিতে ঠাই পেতে জেলা থেকে শুরু করে কেন্দ্র পর্যন্ত দৌড়ঝাঁপ করতে শুরু করে নেতাকর্মীরা। তবে, জাতীয় নির্বাচনের পূর্বে শুরু হয় রাজপথের প্রধান বিরোধী দল বিএনপিসহ বেশ কয়েকটি দলের তীব্র আন্দোলন। আর তাই কেন্দ্রীয় নির্দেশ মোতাবেক, সেগুলোকে প্রতিরোধ করতে নেমে পরে নেতাকর্মীরা। সেই সময়টা আওয়ামী লীগের জন্যও ছিলো বড় একটি পরিক্ষা। অনেকের মতে, সেই আন্দোলন সংগ্রাম প্রতিরোধ করার মাধ্যমে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের নজরে আসতে ব্যপক ভূমিকা পালন করে নারায়ণগঞ্জ।

রাজধানী ঢাকায় আওয়ামী লীগের ডাকা বিভিন্ন সমাবেশে, দলটির প্রভাবশালী নেতা শামীম ওসমানের নেতৃত্বে ওই সব সমাবেশে যোগ দেয় হাজার হাজার নেতাকর্মী। প্রকম্পিত করে ঢাকার রাজপথ। তবে, নির্বাচনের আগে কমিটিতে স্থান পাওয়ার আশা করলেও শেষ পর্যন্ত সেই আশা আর পূরণ হয় না।

এখন নির্বাচন শেষ। রাজপথে নেই বিএনপি ও সমামানদের তেমন সক্রিয়তা। তাই এখন কমিটি গঠনের দিকে মনযোগ দিবে আওয়ামী লীগ, এমটাই ধারণা করছে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

দলীয় সুত্র মতে, ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গেছে নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া। আর সেই অনুযায়ী পদ প্রত্যাশিরাও শুরু করেছে দেন-দরবার। এক্ষেত্রে সর্ব প্রথম ঘোষণা হতে পারে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের কমিটি। এরপর সম্ভাবনা রয়েছে শ্রমিক লীগের। তবে, মহানগর আওয়ামী লীগের সম্মেলনের বিষয়টি এখনো স্পষ্ট নয়। অন্যদিকে, যে কোন সময় বিলুপ্ত হতে পারে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর যুবলীগের কমিটি।

RSS
Follow by Email