রবিবার, জুলাই ২০, ২০২৫
Led02রাজনীতি

নানা দাবিতে না.গঞ্জে ইসলামী আন্দোলনের সমাবেশ

লাইভ নারায়ণগঞ্জ: রাষ্ট্র সংস্কার, গণহত্যার বিচার, সংখ্যানুপাতিক (পিআর) পদ্ধতিতে নিরপেক্ষ নির্বাচন এবং জুলাই ঘোষণাপত্র পাঠ এর দাবিতে সমাবেশ করে ইসলামী আন্দোলন। শুক্রবার (১৮ জুলাই) বাদ জুম্মা দলের জেলা ও মহানগর কমিটির আয়োজনে নগরীর ডিআইটি মসজিদের সামনে এই সমাবেশ অনুষ্ঠত হয়।

এসময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম (পীর সাহেব চরমোনাই) বলেন, নারায়ণগঞ্জের মাটি ইসলামের ঘাটি, স্বাধীনতার পর যারাই এই দেশ শাসন করেছে তাদের থেকে দূর্নীতি আর চুরির দিকে বিশ্বের কাছে এই দেশ প্রথম হয়েছে। আন্দোলনের সময় অনেক মায়ের কোল খালি হয়েছে। বিগত সরকার ক্ষমতায় থাকাকালীন সময় হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার করে বিদেশে বাড়ি করেছে। সাবেক ভূমি মন্ত্রীর লন্ডনে সাড়ে তিনশ বাড়ি পাওয়া গেছে। গণঅভ্যুত্থান অনেক মানুষ আহত নিহত হয়েছে। তারা শুধু নির্বাচনের জন্য এই আন্দোলন করে নাই। এখন একটা দল ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য অশান্তির আগুন জ্বালিয়ে রাখছে। ৫ আগস্টের পর এখনো চাঁদাবাজি খুন বন্ধ হয় নাই। আপনারা যদি এই চাদাবাজি, খুন বন্ধ না করেন তাহলে সব চাঁদাবাজদের ধরে বঙ্গোপসাগরে নিক্ষেপ করবো। আমাদের চোখ রাঙিয়ে লাভ নাই, আপনাদের রাজনীতি দেখেছি। সোহাগের মত বাংলার সন্তানকে পাথর মেরে হত্যা করবেন সেটা আর হতে দেওয়া হবে না। ৫ আগস্টের পর বাংলাদেশের মাটি, আওয়ামীলীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টির শাসন দেখতে চায় না। তারা ইসলামী শাসন দেখতে চায়। আমি এখানে আসার পর অনেক হিন্দু ভাইয়ের আমাকে বলেছে, আগস্টের পর ওলামা ভাইয়েরা আমাদের মন্দির পাহারা দিয়েছে। ঢাকার সমাবেশেও বিভিন্ন ধর্মের ভাইয়েরা আমাদের সাথে সংহতি জানিয়েছে। তরুন সমাজকে বলবো চাঁদাবাজি, খুন, দূনীতির সহযোগী হবেন না। পিআর পদ্ধতির বিকল্প যদি কেউ চিন্তা করে তাহলে সে দেশ প্রেমিক হতে পারে না।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব গাজী আতাউর রহমান বলেন, পুলিশের গুলিতে আমাদের ভাই আহত নিহত হয়েছে। তখন পীর সাহেব আমাদের ডাক দিয়েছেন ছাত্রদের পক্ষে দাঁড়ানোর জন্য। আপনারা তখন কোথায় ছিলেন? আন্দোলনে আমাদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন আছে। আপনারা তখন বলেছেন এই আন্দোলনের সঙ্গে আপনারা নেই। কিন্তু চাত্রদের সাথে আমরা সংহতি জানিয়েছিলাম। আপনারা এখন যে কথাগুলো বলেন এতে মানুষ হাসে। মানুষ জানে আপনারা কোন কথা কেন বলেন। পীর সাহেব আহ্বান জানিয়েছেন সব ইসলামী দলকে এক পতাকায় নিচে আনতে। যখন তিনি সারাদেশকে ঐক্যবদ্ধ করতে চাচ্ছেন তখন একটা শক্তির মাথা গরম হয়ে যাচ্ছে। কারণ তারা ক্ষমতা থেকেও ব্যর্থ হয়েছিলো। মানুষকে কিছু বরার গ্রহণযোগ্যতা আপনারা হারিয়েছেন। অতীতে তারা যা করেছিল, এখন সেটা আরো বেশি করেছে। আওয়ামী ফ্যাসিস্টদের যে কারণে তাড়িয়েছি এই কাজ যদি আরেকটি দল করে, তাহলে ফ্যাসিস্টের সাথে তাদের পার্থক্য কি? ১৬ বছর, তাদের নেত্রী আন্দোলনে নামে নাই, তারা আন্দোলনেও ব্যর্থ হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, যারা এই দেশ থেকে ফ্যাসিস্ট বিদায় করলো তারা গোপালগঞ্জে কেন যেতে পারবেন না? গোপালগঞ্জে যাওয়া নিয়ে যারা সমালোচনা করেন তারা ফ্যাসিবাদদের উৎসাহো দিচ্ছেন। গোপালগঞ্জের মানুষদের জন্য আমাদের ক্ষোভ নেই কিন্তু দুঃখ হয়। দুঃখ হয় কারণ তারা বুঝতেসে না, কার জন্য তারা রক্ত দিচ্ছে। খুনি হাসিনা যদি তাদের ভালোবাসতো তাহলে সে গোপালগঞ্জের মানুষদের রেখে চলে গেল কেন? সে যে ভারতকে ভালোবাসে সেই ভারতের কাছেই চলে গেছে। আপনারা রিয়ালিটি মাইনা নেন, আপনাদের অরক্ষিত রেখে আপনাদের নেত্রী চলে গেছে। আপনারা বাস্তবতা মেনে নিয়ে মূল ধারার অংশ হন। এই জুলাই বিপ্লব হয়েছে কি শুধু ক্ষমতার হাত বদলের জন্য ? এমন ক্ষমতার হাত বদল আগেও অনেক হয়েছে কিন্তু মৌলিক পরিবর্তন হয়নি। মানুষ তাদের অধিকার ফিরে পায় নাই। প্রতিহিংসার রাজনীতি, দুর্নীতি, চাঁদাবাজি বন্ধ হয় নাই। এই রকমেরই জুমামের জন্যই জুলাই হয়েছে। একটা নির্বাচন করে একটা দল থেকে ক্ষমতা নিয়ে অন্যদলকে দেওয়ার জন্য জুলাই আসেনি। আমরা যদি দেখি গণমানুষের আকাঙ্ক্ষা পূরণ হয়েছে তাহলেই নির্বাচন সফল হবে। আমাদের পীর সাহেবের বলেছেন, মৌলিক সংস্কার ছাড়া নির্বাচন হবে না। নির্বাচনের মধ্য দিয়ে ভালো মানুষ যেন সংসদে যেতে পারে। আমরা কেন পিয়ার চাইলাম? সেই প্রশ্ন অনেকে করেন। আমাদের পিয়ার পদ্ধতিতে যদি আপনারা না বুঝে থাকনে তাহলে পড়াশোনা করেন, বিশ্ব রাজনীতি নিয়ে গবেষণা করেন। তাহলে পিয়ায় পদ্ধতি বুঝবেন। আমরা রাষ্ট বিরোধী নই ফ্যাসিবাদের বিরোধী। আওয়ামীলীগ নিজেই নিজেদের ক্ষতি করেছে। আগের নির্বাচনেরও আমরা পিআর পদ্ধতির কথা বলেছি, পীর সাবেহের কথা তখন মানলে আওয়ামীলীগের এই পরিণতি হয় না। আজ আমাদের বিরুদ্ধে যারা কথা বলছে তারাও নিজেদের ধ্বংস করছে। নেতা ভালো হলে, কর্মী ভালো হবে। কর্মীরা চাঁদাবাজি করে কারণ তারা দেখে তাদের নেতারা দুর্নীতি করেন। আমাদের নেতাকর্মীদের বলা লাগে না যে আপনারা দুর্নীতি চাঁদাবাজি করবে না। আমাদের নেতাও ভালো, কর্মীও ভালো। চাঁদাবাজির জন্য আমাদের কর্মীদের বহিষ্কার করা লাগে না। নিজের দলের লোক কেন নিজেদের খুন করবে? মানুষের মধ্যে ভয় আছে সামনেই নির্বাচন কি সুষ্ঠু হবে কিনা। যারা নিজেদের কর্মীদের খুন করে, তারা নির্বাচনে ওপর প্রার্থীদেরও খুন করবে। যেন তেন নির্বাচনের জন্য বাংলাদেশ প্রস্তুত না। বাংলার মানুষ কারো হুমকি ভয় পায় না। আমাদের ভয় দেখলে আপনাদের পরিণতিও তেমনি হবে। বর্তমান সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী বলেছে পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করলে তার মামলা হয় না। কিন্তু আমাদের নেতা আবরারের বিরুদ্ধে এন্টি টেররিজম আইনে মামলা কেন করা হয়েছে। কেন সরকারের লোক মামলা করলো সেটার জবাব দিতে হবে। মানবাধিকার অফিসের বিরুদ্ধে কথা বলায় এই মামলা দেওয়া হয়েছে।

ইসলামী আন্দোলনের কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক লোকমান হোসেন জাফরি বলেন, আপনারা ভুল করলে এই ভুলের পরিণতি ভয়াবহ হবে। আওয়ামীলীগের সময় তারা আমীর ওলামাদের বিরুদ্ধে কথা বলতো। আপনাদরও একউ গুন দেকা যায়। পীর সাহেবের বিরুদ্ধে কেউ কিছু যদি বলেন তাহলে দাঁড়ানোর জায়গা দেওয়া হবে না। পীর সাহেব কোন নেতা নন, তিনি আল্লাহর একজন অলি। প্রশাসনকে বলতে চাই, আপনারা কেন এখনও ঘুমিয়ে আছেন? আপনারা কি দেখেন না এই চাঁদাবাজি সন্ত্রাস কারা করছে? এই নতুন বাংলাদেশকে গড়তে সব ইসলামিক দলকেএক পতাকার নিচে আসতে হবে। কিন্তু কিছু কিছু ওলামারা পিআর পদ্ধতির বিপক্ষে কথা বলতে গিয়ে উশৃঙ্খল হয়ে যাচ্ছে। নতুন করে দেশ সাজাতে নতুন র্ফমুলা লাগবে। এই পিআর তাদের ভালো রাগবে না কারণ এই পদ্ধতিতে নমিনেশন বাণিজ্য নেই। এই পদ্ধতিতে কোন প্রার্থী থাকবে না, শুধু দলের প্রতীক নিয়ে নির্বাচন হবে, এতে চাঁদাবাজিও থাকবে না। এই ভাবে নির্বাচনে গেলে সব দলের প্রার্থীরা সংসদে যেতে পারবে। কিন্তু এখানে একটা দল পিআর চায় না কারণ এই পদ্ধতি হলো তারা চাদাবাজী করবে কি ভাবে। আপনারা বলেন আমাদের পাঠাবেন পাকিস্থান, পীর সাহেবকে পাঠাবেন আফগানিস্থান তাহলে আপনারা কোথায় যাবেন? এই দেশে আর কোন শাসন মানুষ দেখতে চায় না, তারা কোরআন, সুন্নাহের শাসন দেখতে চায়। ইসলাম এই দেশের হাতিয়ার। আমাদের জুলাইয়ের যুদ্ধ এখনো শেষ হয় নাই।

ওলামা পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম আবরার বলেন, আমাদের যারা রক্ত চক্ষু দেখাচলে কাজ হবে না। আমাদের পীর সাহেবকে এবং তার বাবা-দাদাকে চিনি। তার দাদা স্বাধীনতার নেতৃত্ব দিয়েছেন, পীর সাহেবের বাবাও এই দেশে গণতন্ত্রের জন্য ভূমিকা পালন করেছে। আমাদের পীর সাহেবের ২৪শের আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছে। কিন্তু আমরা আপনাদের নেতাদের চিনি না। আমরা কিন্তু ভেসে আসি না, আমরা থাকবো কিন্তু এই দেশে কোনো খুনি চাদাবাঁজকে থাকতে দেবো না। আমরা ইসলামকে রাষ্ট্র ক্ষমতায় নিয়ে যেতে প্রস্তুত আছি। ঢাকার আপনারা মানবাধিকার অফিস করতে চাচ্ছেন কিন্তু সব থেকে বেশি মানবাধিকার নষ্ট হচ্ছে ভারতে। সেখানে এখনও সুমলিমদের উপর অত্যাচার করা হয়। আপনারা যদি মানবাধিকারের নামে সমকামী ও এলজিবিটিকিউ প্রতিষ্ঠা করতে চান, আমাদের শরীলে এক ফোটা রক্ত থাকতে সেটা হতে দেবো না। আগের সরকার ওলামা দেখলেই জঙ্গি ট্যাগ লাগাতো, আপনারাও এখন আমাদের জঙ্গি বলে ট্যাগ লাগান। আপনাদের সাথে থাকলে সঙ্গি, না থাকলে জঙ্গি। প্রশাসনে এখনো শেখ হাসিনার ভূত আছে। আমরা কিন্তু ভূত তাড়াতাড়ি জানি। আমরা কারো বাপের আদর্শ প্রতিষ্ঠার জন্য রাজনীতি করি না।, ইসলামী আদর্শ প্রতিষ্টার জন্য রাজনীতি করি আর এই মিশন কেউ থামাতে পারবে না। এইবার নির্বাচনে এইটা বক্স হবে। এই দেশে বিএনপি আওয়ামীলীগের শাসন দেখেছে জণগন, কিন্তু এবার ইসলামকে রাষ্ট্র ক্ষমতায় দেখায় জন্য প্রস্তুত থাকবে।

দলের মহানগর কমিটির সভাপতি মুফতি মাসুম বিল্লাহ বলেন, আমরা আজ উন্মুক্ত স্বাধীন ভাবে সভা করতে পারছি। কিন্তু এই স্বাধীনতার জন্য অনেক রক্ত ঘাম ঝরাতে হয়েছে। বিগত সরকার কতো জুলুম-নির্যাতনের করেছে যা আপনারা জানেন। কারো বিরুদ্ধে কিছু বললেই গুম খুন হয়ে যেত। বিগত ১৬ বছরে বিগত সরকারের বিরুদ্ধে ইসলামী আন্দোলন বুক টান করে দাঁড়িয়ে ছিলেন। আমাদের আমীর তখন রক্তচক্ষু করে কথা বলেছি। আমরা তখন তাদের মাঠে দেখি নাই। আপনারা রাতে দিনে একবার ছোট মিছিল করতেন। আমরা কিন্তু ভেসে আসি নাই। আপনারা যদি মনে করেন আমরা ভেসে আসছি, তাহলে আপনার বোকার স্বর্গে বাস করেন। ৫ আগসের পর অনেক সময় প্রশাসন ছিল না, তখন আমরা বাজার, ঘাট, মন্দির, পুলিশ লাইন পাহারা দিয়েছি। আমাদের এই পাহারার ফাঁকে কিছু লোক বাজার-রাস্তা দখল করে চাদাবাজী করছে। আমরা যা বলি তা সত্য বলেই আপনাদের গায়ে লাগে। সত্য বলার পর কারো গায়ে লাগলে আমাদের কিছু বলার নেই। আমরা এখনো মুখ খুলতেসিনা শুধু ভ্রাতৃত্ব রক্ষার জন্য। আমরা সমাবেশ থেকে স্পষ্ট করে বলতে চাই, কেউ যদি আমাদের নিয়ে কটূক্তি করেন আমরা পাল্টা প্রতিবাদ করবো। আমরা শান্তির বার্তা নিয়ে এসেছি। আমরা চাই আমরা সবাই নারায়ণগঞ্জে শান্তিতে থাকবে।

জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য মাওলানা মঈনুদ্দিন আহমেদ বলেন, বাংলাদেশেই শুধু ৩৬ দিন ধরে জুলাই পালিত হয়। আজকে সেই ১৮ জুলাই। এই দিনে গডফাদার সাড়ে তিনশ সেনা নিয়ে নারায়ণগঞ্জ ক্লাবে খাবার খেয়ে সাংবাদিকদের বলেছিল, আমাদের হাতে শুধু ১ ঘণ্টা ছেড়ে দেন। তাদের এই এক ঘন্টায় নারায়ণগঞ্জে আবির, রিয়াদের মতো সন্তানরা শহীদ হয়েছে। আমরা আর এমন শাসন চাইনা। এখন সব ইসলামিকদলগুলো ঐক্যবদ্ধ হয়েছে একটা সু শাসনের জন্য। আগামীর নির্বাচনের জন্য একটা সমতল ভূমি লাগবে, সেটা সরকারের তৈরি করতে হবে। আগস্টের পর বাংলাদেশের সকল ইসলামিক দল ঐক্যবদ্ধ হওয়ায় মানুষ আশা পেয়েছে। তারা চায় দেশে একটা ইসলামিক দল শাসন করুক। এই সরকার আমলে কেউ চুরি, ছিনতাই, লুটপাট, চাঁদাবাজি করেতে পারবে না। আমরা নির্বাচনের কাজ শুরু করে দিয়েছি। যারা আমাদের নিয়ে কথা বলছেন, আপনারাও নির্বাচনের কাজ শুরু করেন। নির্বাচনের পিছানো হবে কিনা, সেটার দায়িত্ব সরকারের।

মহানগর জামায়াতে ইসলামীর আমীর মাওলানা আবদুল জব্বার বলেন, আমরা কাজ করি আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য। আমাদের হামলা-মামলা ভয় দেখিয়ে রুখতে পারবেন না। জুলাইয়ের আন্দোলনের অনেকে নিজেদের মাস্টার মাইন্ড বলে চিৎকার করেন। যারা আসলেও মাস্টার মাইন্ড তারা নিজেদের মাস্টারমাইন্ড বলে না। জুলাইয়ের সময় আপনারা কোথায় ছিলেন? বাংলার মানুষ চিনে কারা মাস্টারমাইন্ড। যারা দ্রুত নির্বাচনের দাবি করছেন, লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি না করে কেন নির্বাচন হবে না। আমরা আর কোন
ব্যালট বক্স ছিনতাই চাই না। বাংলার মানুষ আর যেন তেন নির্বাচন চায় না। মানুষ নিজেদের ভোট দিয়ে নিজেদের পছন্দের নেতাকে নির্বাচিত করবেন। মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা করার জন্য ইসলামের কোনো বিকল্প নেই।

পূজা উদযাপন পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শ্যমল বিশ্বাস বলেন, আগস্টের পর হুজুররা মন্দিরে গিয়ে আমাদের খোঁজ নিয়েছেন, তারা আমাদের কথা ভেবেছেন। আমাদের সুখে-কষ্টে পাশে ছিলেন, তাই আজ তাদের ধন্যবাদ জানাই। ৫ আগস্টের পর আপনার আমাদের পাশে থেকেছেন, আশা করছি পরবর্তী সময়ও থাকবেন।

RSS
Follow by Email