বুধবার, নভেম্বর ৬, ২০২৪
Led02আড়াইহাজারজেলাজুড়ে

ধর্ষণের সাজায় জেল থেকে বের হয়ে কিশোরীকে মারধর, আত্মহত্যার পর বাবা-দাদা আটক

লাইভ নারায়ণগঞ্জ: বিয়ের প্রলোভনে কিশোরীকে ধর্ষণ। প্রমাণ মিললে অভিযুক্তকে জেল হাজতে পাঠায় আদালত। কয়েক মাস জেল খেটে জামিনে বের হয়ে, পিতাকে সাথে নিয়ে ধর্ষণের শিকার কিশোরীকে মামলা তুলে নিতে ভরা বাজারে বেধর পিটুনি ও অপমান করেন। এতে অপমান সহ্য করতে না পেরে নিজের প্রাণ-নাশ করার জন্য বিষপান করেন ভুক্তভোগী। উদ্ধার করে হাসপাতালে নিলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুনিয়া থেকে বিদায় নেন নিরাপরাধ কিশোরী।

ঘটনাটি ঘটে আড়াইহাজার উপজেলায়। বৃহস্পতিবার বিশনন্দী ইউনিয়নের চালাকচর এলাকা থেকে আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে ধর্ষণের অভিযুক্ত যুবকের পিতা ও দাদাকে আটক করেছে পুলিশ।

আটককৃতরা বিশনন্দী ইউনিয়নের চালাকচর এলাকার রেজাউল (৫০) ও তার পিতা ছলিমউদ্দিন। আটককৃত রেজাউলের ছেলে জহিরুল (১৯) কিশোরী ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামী, তিনি বর্তমানে পলাতক আছে বলে জানায় পুলিশ। তথ্যটি লাইভ নারায়ণগঞ্জকে নিশ্চিত করেছে আড়াইহাজার থানার ইন্সপেক্টর (অফিসার ইনচার্জ) মোহাম্মদ আহসান উল্লাহ।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায় যে, গত বছর ৬ সেপ্টেম্বর জহিরুলের বিরুদ্ধে আড়াইহাজার থানায় একটি ধর্ষণ মামলা হয়। জহির বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে মেয়েটিকে ২৫ আগষ্ট আড়াইহাজার বাজারের একটি মার্কেটে এনে বলপূর্বক ধর্ষণ করে। এ মামলায় জহিরুল গ্রেপ্তার হয়ে জেলহাজত বাস করে চলতি বছরের ২৪ মে জামিনে বের হয়। বাড়িতে এসে তার পিতা রেজাউলসহ তাদের পরিবারের লোকজন ধর্ষিতাকে মানিকপুর বাজারে তাদের দোকানের সামনে আটকে মারধর করে এবং মামলা তুলে নিতে চাপ প্রয়োগ করে। এতে দুঃখে ভুক্তভোগী কিশোরী বিষপান করে অসুস্থ হয়ে পড়ে। তাকে প্রথমে আড়াইহাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসা হলে তার অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ধর্ষিতা মারা যায়।

এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ধর্ষিতার চাচা হাতেম বাদী হয়ে ৩০মে (বৃহস্পতিবার) আড়াইহাজার থানায় ধর্ষণ অভিযুক্ত জহিরুল, তার পিতা রেজাউল এবং তাদের পরিবারের লোকজনদেরকে আসামী করে আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় রেজাউলকে আটক করে পুলিশ।

আড়াইহাজার থানার ইন্সপেক্টর (অফিসার ইনচার্জ) মোহাম্মদ আহসান উল্লাহ জানান, ধর্ষণের পর জামিনে বের হয়ে জহিরুল। পরে পিতা রেজাউল ও দাদা ছলিমউদ্দিনসহ ভুক্তভোগী ওই কিশোরীকে মারধর ও অপমান করেন। পরে কিশোরী অপমান সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যা করে। এই ঘটনায় নিহত কিশোরীর চাচা বাদি হয়ে মামলা দায়ের করেন। আমরা ইতোমধ্যে রেজাউল ও দাদা ছলিমউদ্দিনকে গ্রেপ্তার করেছি। জহিরুলকে গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছে।

RSS
Follow by Email