দেশের সবচেয়ে বড় গডফাদার ছিলো না.গঞ্জে: গিয়াসউদ্দিন
লাইভ নারায়ণগঞ্জ: আজ থেকে এক বছর আগে শুরু হওয়া ফ্যাসিস্ট সরকার শেখ হাসিনার স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে আন্দোলনে যারা শহীদ হয়েছেন, তাদের মাগফেরাত কামনা করেছেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য, বীর মুক্তিযোদ্ধা মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন। তিনি বলেন, “ওই আন্দোলনে যারা শাহাদাৎ বরণ করেছেন, তাদের মাগফেরাত কামনা করছি। যারা পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন, তাদের সুস্বাস্থ্য ও ক্ষতিগ্রস্তদের প্রতি সম্মান জানাই।”
বুধবার (২ জুলাই) সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ১নং ওয়ার্ডে জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির সদস্য নবায়ন ও নতুন সদস্য সংগ্রহ অভিযান কর্মসূচীতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন অভিযোগ করে বলেন, “পহেলা জুলাই থেকে এই দেশের মানুষ স্বৈরাচারের কথা মনে করছে, কিভাবে স্বৈরাচার তাদের পেটুয়া বাহিনী দ্বারা অজস্র মানুষকে গুলি করে হত্যা করেছে। অসংখ্য শিশু ও নারীদের হত্যা করেছে।”
তিনি ৭১-এর মুক্তিযুদ্ধের প্রসঙ্গ টেনে বলেন, “১৯৭১ সালে আমি মুক্তিযুদ্ধের কমান্ডার ছিলাম, সে সময় যেভাবে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী মানুষকে হত্যা করেছে, ঠিক সেভাবেই শেখ হাসিনা মানুষদের হত্যা করেছেন।”
গিয়াসউদ্দিন আরও বলেন, “এক মাসের আন্দোলনে বহু মানুষকে হত্যা করেছে, পঙ্গু বানিয়ে দিয়েছে, চিরদিনের জন্য তাদের দৃষ্টিকে ধ্বংস করে দেয়া হয়েছে। দেশের সবচেয়ে বড় গডফাদার ছিলো নারায়ণগঞ্জে। তার ছিলো বিশাল এক অস্ত্র বাহিনী। এই অস্ত্র বাহিনী নিরস্ত্র মানুষের ওপর নির্বিচারে গুলি করেছে। সেদিনগুলোর কথা যখন মনে পড়ে, হৃদয়ে শিহরণ জাগে। নারায়ণগঞ্জবাসীর প্রতি আমার শ্রদ্ধা, কারণ এতো অত্যাচারের পরও তারা দমে থাকেনি। স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করে গেছেন।”
সাবেক এই সংসদ সদস্য বলেন, “বর্তমানে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতায়, জনগণ আমরা সবাই তাদের সমর্থন দিয়েছি। স্বৈরাচার শেখ হাসিনা মানুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছে, দিনের ভোট রাতে করেছে, ডামি নির্বাচনের মাধ্যমে নিজেরা নিজেরাই ভোট করেছে। তাই ৫ আগস্টের পর মানুষের মধ্যে এক প্রত্যাশা তৈরি হয়েছে।”
১নং ওয়ার্ড বিএনপি সভাপতি রওশন আলীর সভাপতিত্বে এবং মোঃ শহিদুল ইসলাম-এর সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সভাপতি মো. মাজেদুল ইসলাম, সাবেক সভাপতি আব্দুল হাই রাজু, সহ সভাপতি জি এম সাদরিল, এস এম আসলাম, ডি এইচ বাবুল, মো. মোস্তফা কামাল, অ্যাড. মাহমুদুজ্জামান মন্টু, সেলিম মাহমুদ, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আবুল হোসাইন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. কামরুল জামান শরীফ, সাংগঠনিক সম্পাদক আকবর হোসেন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মো. জয়নাল আবেদীন, যুগ্ম সাংগঠনিক সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন স্বাধীন, ১০নং ওয়ার্ড বিএনপি সহ-সভাপতি আনিশ সিকদার, নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুব দলের সাবেক আহ্বায়ক মোমতাজ উদ্দিন মন্তু, নারায়ণগঞ্জ জেলা তরুণ দলের আহ্বায়ক টি এইচ তোফা ও ১নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. সালাউদ্দিন প্রমুখ।