শনিবার, জুলাই ২৭, ২০২৪
Led02জেলাজুড়েসদর

কোরবানি ঈদের আগেই মসলার বাজার গরম হয়ে উঠেছে

লাইভ নারায়ণগঞ্জ: জুন মাসের ১৭ তারিখে কোরবানির ঈদ। ঈদকে সামনে রেখে নারায়ণগঞ্জে মসলার বাজার উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। জিরা, এলাচ, আদা-রসুন, লবঙ্গ, গোলমরিচের বাড়তি দামে পুড়ছে বাজার।

মঙ্গলবার (২৮ মে) কালির বাজার ও দ্বিগুবাবুর বাজারে বিভিন্ন মসলার দোকান ঘুরে দেখা যায়, এলাচ মানভেদে ৩ হাজার ৩৬০ টাকা থেকে ৩ হাজার ৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। জিরা কেজিতে ৮০০ টাকা, দারুচিনি ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা, লবঙ্গ কেজিতে ১ হাজার ৫০০ থেকে ১ হাজার ৬০০ টাকা, গোলমরিচ কেজিতে ১ হাজার টাকা ও গোলমরিচ (সাদা) কেজিতে ১ হাজার ৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়াও দেশি তেজপাতা ৯০ থেকে ১২০ টাকা, আদা কেজিতে ২৩০ থেকে ২৪০ টাকা, হলুদ কেজিতে ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা, রসুন ২০০ থেকে ২২০ টাকা, বিদেশি রসুন ২২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এলাচের মধ্যে বিভিন্ন জাতের দেখা মিলছে। এলএমজি এলাচ, ইডিয়ান এলাচ, আরএস এলাচ সহ ৭ থেকে ৮ রকমের এলাচ মিলছে বাজারে। জিরার জাতের মধ্যে বিক্রি হচ্ছে চায়না ও ইন্ডিয়ান জিরা। বিক্রেতারা জানান, এপ্রিলের তুলনায় মে মাসে মসলার দাম বেড়েছে। পাইকারি বিক্রেতারা পণ্যে দাম বাড়ানোতে বাজারে মসলার দাম বেড়েছে।

মসলা কিনতে আসা ক্রেতা সাব্বির বলেন, মসলার দাম এখন অনেক বেশি। তাই আগের চেয়ে কম করে কিনছি। এলাচ কিনা একেবাড়েই ছেড়ে দিয়েছি। বলতে গেলে বাজারে এখন সব কিছুরই দাম বেশি। আমরা খেটে খাওয়া মানুষরা কিভাবে খাবো তা দেখার কেউ নাই।

আরেক ক্রেতা নাহিদা বেগম বলেন, নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম এখন বেশি। মসলা আগের তুলনায় কম নিচ্ছি। বাজার সংশ্লিষ্টদের কাছে আমার অনুরোধ মসলাসহ সকল পণ্যের মূল্যা সাধারণ মানুষদের ক্রয়াক্ষমতার মধ্যে নিয়ে আসুন।

কালির বাজারের হাজী বিসমিল্লাহ স্টোরের দোকানী আকাশ ইসলাম বলেন, ১ মাস আগেই পাইকারিতে ৫৫০ টাকা কেজিতে যে জিরা কিনেছি, তা এখন ৮০০ টাকা কেজিতে কিনতে হচ্ছে। আমরা মৌলভী বাজার ও নিতাইগঞ্জে পাইকারদের থেকে মসলা নিয়ে আসি। তারা গত মাসের তুলনায় মসলায় দাম বেশি রেখেছে। ঈদকে সামনে রেখে ক্রেতাদের জিরা, এলাচ, গোলমরিচের চাহিদা বেশি। গত বছরের ঈদে শুধু জিরার দাম বেশি ছিল। এবার প্রায় সব মসলার দাম উর্ধ্বমুখি। আমাদের সেইভাবে ক্রেতাদের কাছে মসলা বিক্রি করতে হচ্ছে।

এদিকে নিতাইগঞ্জের পাইকারি বাজারে গিয়ে দেখা যায়, এলএমজি এলাচ কেজিতে ৩ হাজার ২০০ টাকা, আর.এস জাম্বো এলাচ ৩ হাজার ৬৫০ টাকা, ইন্ডিয়ান জিরা কেজিতে ৬৭০ থেকে ৬৮০ টাকা, টার্কি জিরা কেজিতে ৮২০ থেকে ৮৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

খাজা মসল্লা স্টোরের পাইকার আল আমিন বলেন, সামনে ঈদের জন্যে ক্রেতাদের মাঝে জিরা, এলাচ, দারুচিনি ও গোলমরিচের চাহিদা রয়েছে বেশ। আমাদের এই সকল মসলা খাতুনগঞ্জ থেকেই আনা হয়। খাতুনগঞ্জ থেকে যে দামে কিনছি, সেই অনুযায়ী আমরা মসলা বিক্রি করছি। তবে বলতে হবে, মসলার দাম বাড়ছে।

RSS
Follow by Email