শনিবার, জুলাই ২৭, ২০২৪
Led03ফতুল্লারাজনীতি

কারো গণতান্ত্রিক অবস্থানে বাঁধা দিবো না, এটা নেত্রীর নির্দেশ: শামীম ওসমান

লাইভ নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাংসদ একেএম শামীম ওসমান বলেছেন, আগামী ৪ঠা নভেম্বর দেশের মানুষ জাতির পিতার কন্যাকে কতটা ভালোবাসে সেটা প্রমাণ করতে হবে। সমাবেশটা যেহেতু শাপলা চত্বরে হবে আমাদের বিশ্বাস সেদিন সেখানে ইতিহাসের সর্ববৃহৎ সমাবেশটা হবে। আর ২৮ অক্টোবরের কর্মসূচিটা একটু ক্রিটিক্যাল। আমাদের বুঝে শুনে তারপর পা ফেলতে হবে। রাজনীতি একটা কৌশল। এ কৌশল আমরা কীভাবে নেব তা ঠিক করতে হবে। এবিষয়ে বসে আমরা পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত নিবো। তবে আমরা কারো গণতান্ত্রিক অবস্থানে বাঁধা দিবো না। এটা আমাদের নেত্রীর নির্দেশ।

আগামী ৪ নভেম্বর ঢাকা বিভাগীয় সমাবেশ সফল করতে বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ সার্কিট হাউজে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

শামীম ওসমান বলেন, আমরা টার্গেট না। টার্গেট একটাই শুধুমাত্র শেখ হাসিনা। তাকে টলাতে পারছে না কারণ বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে তার একটা তফাৎ আছে। বঙ্গবন্ধু সবাইকে বিশ্বাস করতেন জীবন দিয়ে তাকে তার মূল্য দিতে হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী সবাইকে বিশ্বাস করেন না। দেশে এখনও জামায়াত কথা বলে বিএনপির কারণে। লন্ডনে যে খুনি বসে আছে তাকে জামায়াতে পরিচালনা করছে। কারণ তারা জানে নির্বাচন হলে তারা ফেল করবে। ওরা চায় দেশে একটা অরাজকতা হোক। এর পেছনে পৃথিবীর অনেক বড় বড় রাষ্ট্র কাজ করছে। ওরা বিএনপিকে ক্ষমতায় আনার জন্য এসব করছে না।

তিনি বলেন, আমরা ১৪ বছর ধরে ক্ষমতায়। আমরা যদি ক্ষমতাচ্যুত হই। আমাদের ওপর বোমা হামলা হয়েছে, গুলি হয়েছে। আমি পার্লামেন্টে বলেছি প্রধানমন্ত্রী আপনি বললেও আমি শুনবো না। শেখ হাসিনা আপনার আমার বাচ্চার ভবিষ্যৎ। নারায়ণগঞ্জে ওরা নেত্রীকে নিয়ে তার পিতাকে নিয়ে গালি দেয়। তার পিতার নাম শেখ মুজিবর রহমান। রহমান আল্লাহর একটা নাম। ওদের এমন স্লোগানের পর আমরা একটা জনসভা ডেকেছিলাম। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন সেদিন। খুব অল্প সময়ের মধ্যে আমরা এ জনসভা করেছিলাম। এক বছর ধরে নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের কমিটি বসে আছে। আমি কোনো থানা কমিটি দেখতেও যাইনি। ফতুল্লায়ও যাইনি, কারণ সবাইতো আমারই লোক। আমার স্বেচ্ছাসেবক লীগ ভেঙে দেওয়া হলো, কেন আমি জানি না।

তিনি আরও বলেন, আমাদের ত্যাগী লোকদের মূল্যায়ন করা দরকার। খন্দকার মোশতাক আহমেদ চাই না। বঙ্গবন্ধুর পিতার মৃত্যুর পর মোশতাক কবরে নেমে এমন কান্না করেছিলেন যে বঙ্গবন্ধু নিজে কান্না থামিয়ে তাকে উঠিয়েছিল। এরা অনেক নাটকবাজ হয়। আড়াইহাজার, রূপগঞ্জে ট্রান্সপোর্টের একটু সমস্যা হতে পারে। ৪ তারিখ যাতে ট্রেনের ব্যবস্থা করা যায়, করবেন। আমরা ট্রেনে করে ঢাকা যাবো। প্রয়োজনে অতিরিক্ত বগি লাগিয়ে দেবেন। আমরা সিদ্ধিরগঞ্জের লোকদেরও সঙ্গে নিয়ে ট্রেনে যাবো। দরকার হলে স্পেশাল ট্রেনও এখানে থাকবে।

শামীম ওসমান বলেন, ইসরায়েলে আজ মানবাধিকার কোথায়। সমস্ত মানবাধিকার এখানে এসে পড়েছে। ওরা ফিলিস্তিন নিয়ে কথা বলছে না। কথা বলছেন শেখ হাসিনা। খুনি তারেক রহমান ও মির্জা ফখরুলের ফোনালাপ ফাঁস হয়েছে।

ভুল-ত্রুটি সবার আছে, আসেন আগামী ২টা মাস আমরা সবাই এক থাকি। আমরা যদি এক থাকি পৃথিবীর কোন বড় শক্তি, বাইরে থেকে আইসাও আমাদের কিচ্ছু করতে পারবে না। আজকে থেকে কেউ কাউকে কটাক্ষ কইরেন না। ওমুক ভালো, ওমুক খারাপ; দরকার নাই। যার মুখে বঙ্গবন্ধু আছে, জয় বাংলা আছে আমরা সবাই একটা পরিবার; শেখ হাসিনা হচ্ছে আমাদের অভিভাবক। পদ পদবির গুষ্টি মারি। পদ-পদবি দিয়ে কি করবেন।

তিনি বলেন, আমাদের পূর্ব পুরুষেরা যেভাবে বাংলাদেশকে রক্ষা করেছেন, তেমন ভাইবেই তাদের রক্ষা করতে নারায়ণগঞ্জ একাই যথেষ্ট। ৪ নভেম্বর দেশের সব জায়গা থেকে যত মানুষ আসবে, তার চেয়ে বেশি মানুষ নিয়ে নারায়ণগঞ্জের ৫টি উপজেলা থেকে আমরা যাবো। আর এর জন্য যা যা করা দরকার আমরা করবো।

শামীম ওসমান আরও বলেন, আজম ভাই আপনি নিশ্চিন্ত থাকেন। ৪ তারিখেরটা আমরা ব্যপক ভাবেই করবো। ২৮ তারিখের বিষয়টা টেকনিকের ব্যাপার সেটা আমরা বুঝে ব্যবস্থা করবো, আপনিও আমাদের দিকনির্দেশনা দিবেন। বাংলাদেশে সব জায়গার মিছিল থেকে নারায়ণগঞ্জেরটা সবচেয়ে বৃহত্তর ও সুশৃঙ্খল হবে ইনশাআল্লাহ।

নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাই এর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক এড. আবু হাসনাত মো. শহীদ বাদলের সঞ্চালনায় সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. আব্দুস সোবহান গোলাপ এমপি, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা জাহানারা বেগম ও কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য সাঈদ খোকন, বস্ত ও পাট মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী, নারায়ণগঞ্জ-২ আসনের সংস সদস্য নজরুল ইসলাম বাবু, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বাবু চন্দনশীল।

সভায় স্বাগতিক বক্তব্য রাখেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এড. খোকন সাহা।

এছাড়া নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের পাশাপাশি প্রতিটি উপজেলা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ডের নেতাকর্মী ও জনপ্রতিনিধিরা সভায় উপস্থিত ছিলেন।

RSS
Follow by Email