বুধবার, অক্টোবর ৩০, ২০২৪
Led03বন্দররাজনীতি

‘কলাগাছিয়ায় ১২ বছরে ৮০ কোটি টাকার উন্নয়ন’

লাইভ নারায়ণগঞ্জ: বন্দর উপজেলার কলাগাছিয়া ইউনিয়নে গত ১যুগে ৮০ কোটি টাকার উন্নয়ন মুলক কাজ হয়েছে বলে জানিয়েছেন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন প্রধান। এছাড়া কলাগাছিয়া ইউনিয়নের শিক্ষাসহ বিভিন্ন উন্নয়ন মুলক কাজে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য সেলিম ওসমানের নিজস্ব তাহবিল থেকে প্রায় ৫কোটি টাকা ব্যায় হয়েছে বলে জানান তিনি।

দীর্ঘ ১ যুগ ধরে দক্ষতার সাথে চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন উপলক্ষে শনিবার (১১ নভেম্বর) বিকেলে কলাগাছিয়া ইউনিয়নের খোরশেদুন্নেছা স্কুলে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এ তথ্য জানান।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য সেলিম ওসমান। প্রধান অলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বাবু চন্দনশীল।

দেলোয়ার হোসেন বলেন, ২০১১ সালে আমি ঢাকা থেকে বন্দরে এসেছিলাম মাকে ভালোবেসে। এই খোরশেদুন্নেছা স্কুল ও একটি মাদ্রাসা নির্মানের পর আমি চিন্তা করলাম, যে আমি এই ইউনিয়নবাসীর সেবা করতে চাই। এতদিন পর এসে কতটুকু সার্থক হয়েছি বা কতটুকু ব্যর্থ হয়েছি সেটা জানি না, আপনারা ভালো বলতে পারবেন। আমি এখানে এসে মাত্র ৭টি রাস্তা পেয়েছিলাম, এখন এই ইউনিয়নের ৪২টি গ্রামের কেউ বলতে পারবে না যে তাদের গ্রামের সাথে রাস্তার সংযোগ নাই।

এসময় এমপি সেলিম ওসমানের কল্যানে বিভিন্ন উন্নয়ন মুলক কাজের তথ্য তুলে ধরে দেলোয়ার হোসেন বলেন, এই খোরশেদুন্নেছা স্কুলে তিনি ১ কোটি ৭৫ লাখ টাকা দিয়ে একটি ভবন করে দিয়েছেন। কলাগাছিয়া স্কুলে ২০ লাখ টাকা দিয়ে তিনি বাউন্ডারি ওয়াল করে দিয়েছেন। সাত্তার লতিফ স্কুলে ৫০ লাখ টাকা দিয়ে ওয়াল ও পুকুর নির্মানের কাজ করে দিয়েছেন। ঘারমোড়ার বিভিন্ন মসজিদ, মাদ্রাসা, ইদগাহে ১ কোটি টাকা অনুদান দিয়েছেন। এছাড়া কলাগাছিয়ার অন্যান্য বিভিন্ন স্কুলে ৩০ লাখ টাকা অনুদান দিয়েছেন। করোনাকালীন সমায়ে তিনি অনুদান দিয়েছিলেন ৩ লাখ টাকা। এই সব গুলো টাকাই তিনি তার ব্যাক্তিগত তাহবিল থেকে দিয়েছেন।

কলাগাছিয়ার ইউনিয়নের বিভিন্ন ওয়ার্ডের ন্নয়ন মুলক কাজের তথ্য তুলে ধরে দেলোয়ার হোসেন বলেন, ১ নং ওয়ার্ডে ১৭টি প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছি, যেখানে ২৬ কোটি ৫৯ লাখ ৬১ হাজার ১৯৪টাকা ব্যায় হয়েছে। ২নং ওয়ার্ডে ৩৯টি প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছি, যেখানে ১২ কোটি ৫৩ লাখ ৮৩ হাজার ২২৯টাকা ব্যায় হয়েছে। ৩নং ওয়ার্ডে আমরা ২১টি প্রকল্পের কাজ করেছি, যেখানে ৫ কোটি ৯৪ লাখ ২৭ হাজার ৯০১টাকা ব্যায় হয়েছে। ৪নং ওয়ার্ডে আমরা ২১টি প্রকল্পের কাজ করেছি, যেখানে ৫ কোটি ৫০ লাখ ৯০ হাজার ৯৯৩টাকা ব্যায় হয়েছে। ৫নং ওয়ার্ডে আমরা ৩১টি প্রকল্পের কাজ করেছি, যেখানে ৬ কোটি ৯৪ লাখ ৬৫ হাজার ১৬২টাকা ব্যায় হয়েছে। ৬নং ওয়ার্ডে আমরা ১৮টি প্রকল্পের কাজ করেছি, যেখানে ২ কোটি ৬১ লাখ ৩৫ হাজার ১৮১টাকা ব্যায় হয়েছে। ৭নং ওয়ার্ডে আমরা ১৫টি প্রকল্পের কাজ করেছি, যেখানে ২০ কোটি ২০ লাখ ৯ হাজার ৪৪১টাকা ব্যায় হয়েছে। ৮নং ওয়ার্ডে আমরা ২১টি প্রকল্পের কাজ করেছি, যেখানে ১৫ কোটি ৫৮ লাখ ৬২ হাজার ২২৩টাকা ব্যায় হয়েছে। ৯নং ওয়ার্ডে আমরা ২০টি প্রকল্পের কাজ করেছি, যেখানে ৪ কোটি ৭৩ লাখ ২৭ হাজার ৭২৪টাকা ব্যায় হয়েছে। সর্ব মোট ৮০ কোটি টাকার উন্নয়ন মুলক কাজ ২০১১ সাল থেকে এই পর্যন্ত আমি করতে পেরেছি।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- বন্দর উপজেলা চেয়ারম্যান এম এ রশিদ, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কুদরত এ খুদা, বন্দর উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান সানাউল্লাহ সানু, বন্দর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজিম উদ্দিন প্রধান, বন্দর উপজেলার মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান হালিমা হোসেন শান্তা, বন্দর উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি বাচ্চু মিয়া প্রধান, জেলা পরিষদের সদস্য মাসুম আহাম্মেদ, বন্দর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এহসান উদ্দিন আহাম্মেদ, মুছাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাকসুদ হোসেন, ধামগড় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামাল হোসেন, মদনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গাজী এম এ সালাম, এনসিসি ১৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. আফজাল হোসেন, এনসিসি ১৮নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর কামরুল হাসান মুন্না।

আরও উপস্থিত ছিলেন- বন্দর থানার ওসি আবু বকর সিদ্দিক, আলীরটেক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাকির হোসেন, গোগনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফজর আলী, মহানগর জাতীয় পার্টির সভাপতি মোদাচ্ছেরুল হক দুলাল প্রমুখ।

RSS
Follow by Email