শনিবার, জুলাই ২৭, ২০২৪
Led02জেলাজুড়েফতুল্লাসদর

এক ঘণ্টার বৃষ্টিতে ডুবলো না.গঞ্জের অলিগলি

# সকালে ঘুম ভাঙ্গছে বৃষ্টির শব্দে
# রাস্তার পানি আর ড্রেনের পানি মিলে একাকার হয়ে
# পেটের দায়ের কাছে এই বৃষ্টি কিছু না

লাইভ নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জের আকাশ সকাল থেকেই ছিল মেঘলা। সকাল পৌনে ৭টার পরে শুরু হয় ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি। এতে নগরীরর প্রধান প্রধান সড়কসহ অলিগলিতেও ঢুবে যায় বৃষ্টির পানিতে। আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, নগরীতে সকাল সাতটা থেকে আটটা পর্যন্ত এক ঘণ্টায় ৮৭ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।

এদিকে, এই বৃষ্টিতে নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় পানি জমে। বিভিন্ন এলাকায় জমে প্রায় হাঁটুসমান পানি। প্রত্যক্ষদর্শী ও এলাকাবাসী বলছে, বৃষ্টির পরে শহরের গলাচিপা, মাসদাইর, দেওভোগ, ভূঁইয়ারবাগ, নন্দীপাড়া, বোয়ালিয়া খাল, জামতলসহ হাঁটুসমান পানি জমেছে। এ ছাড়া বঙ্গবন্ধু সড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে (মার্কেট গুলো) সামনের কিছু অংশ এলাকায় সড়কে পানি জমেছে।

গলাচিপা এলাকার বাসিন্দা চাকরিজীবী মো. আল মেহেদী জানায়, সকালে ঘুম ভাঙ্গছে বৃষ্টির শব্দে। বর্জপাতের আওয়াজে আর ঘুমানো সম্ভব হয়নি। বাসা থেকে কর্মস্থলে যাওয়ার জন্য বের হতেই রাস্তায় দেখি পানিতে ডুবে আছে। এতে করে পানিকে উপেক্ষা করেই বের হয়েছি কর্মস্থলের পথে।

দেওভোগ এলাকার বাসিন্দা সাগর কাজী এই প্রতিবেদককে জানায়, আমি একটা হোসিয়ারী কাজ করি। প্রোডাকশনে কাজ করি, যার ফলে কাজ করলে টাকা নয়তো টাকা নেই। তাই রাস্তায় জমানো পানি দিয়ে কাজে যেতে হয়েছে। রাস্তার পানি আর ড্রেনের পানি মিলে একাকার হয়ে গেছে।

জামতলা এলাকার বসবাস করে সোহেল তাজ নামে এক মেডিসিন ব্যবসায়ী। কথা হয় তার সাথে তিনি জানান, আজকে সকালের বৃষ্টি পড়ে এলাকা ডুবিয়ে দিয়ে গেছে। বৃষ্টির পরে হাটুর উপরে ছিলো পানি। সকাল ১০টা পর্যন্ত কিছুটা কমেছে। আজকে আমার অনেক গুলো মাল ডেলিভারি দিতে হবে, তাই বাধ্য হয়েই বাসা থেকে বের হতে হয়েছে। পেটের দায়ের কাছে এই বৃষ্টি কিছু না।

উল্লেখ্য, আবহাওয়াবিদ অধিদপ্তরের তথ্য মতে ‘আপাতত দিনে আর বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। তবে রাতে কিছু জায়গায় বৃষ্টি হতে পারে। গতকাল আবহাওয়া অধিদপ্তরের দেওয়া পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রংপুর ও চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে।

গত এপ্রিল মাসের প্রথম দিন থেকে পুরো মাস নারায়ণগঞ্জে মৃদু থেকে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যায়। চলতি মাসের ৬ তারিখ পর্যন্ত তাপপ্রবাহ ছিল। তবে মাসের দ্বিতীয় দিন থেকে বৃষ্টি শুরু হলে তাপপ্রবাহের কমতে থাকে। টানা ৬ দিন হলো নারায়ণগঞ্জে কোথাও আর তাপপ্রবাহ নেই।

RSS
Follow by Email