বৃহস্পতিবার, নভেম্বর ১৪, ২০২৪
Led02জেলাজুড়েপরিবহনসদর

আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে না.গঞ্জের কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে ২ গ্রুপের সংঘর্ষ

লাইভ নারায়ণগঞ্জ: আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বন্ধন পরিবহনের ২ গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। রবিবার (২২ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত (এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত) নগরীর ১নং রেল গেট, টানবাজার ও লঞ্চ টার্মিনাল এলাকায় দফায় দফায় এ সংঘর্ষ ঘটে।

এদিকে সংঘর্ষের কারণে কেন্দ্রীয় কাউন্টারে বন্ধ রয়েছে বন্ধন বাসের যাত্রি সেবা। ২নং রেল গেট, ১নং রেল গেইট এলাকায় বাস চলাচল বন্ধ আছে। ১নং রেল গেট থেকে টানবাজার ও বন্ধর ঘাট এলাকায় সকল ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে।

সিটি বন্ধন বাসের এমডি বলেন, ২০০৯ সালে তপন মিয়া বন্ধনের সব গাড়িগুলো বিক্রি করে চলে গেছে। আন্দোলনে দেশ স্বাধীনের পর আমরা সাধারণ ব্যবসায়ীরা মিলেমিশে ব্যবসা করছিলাম। তখন তপন রানা জুবায়ের আরো কয়েকজন মিলে আমাদের অফিস দখল করতে এসেছিল। কিন্তু আমাদের মালিক পক্ষে একত্ববদ্ধ থাকার কারণে তারা দখল করতে পারেনি। আজ সকালে তারা লোকজন নিয়ে এসে আমাদের সিটি বন্ধন কাউন্টারের দখল করেছে এবং কাউন্টারের সিটি শব্দটা রং দিয়ে মুছে দিয়েছে। তারা আমাদের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে বন্ধন দখল করতে চাচ্ছে। আমরা ব্যবসায়ীরা যাতে নিরাপদে ব্যবসা করতে পারি সেটার জন্য প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। তারা আমাদের সিটি বন্ধন পরিবহন দখল করতে চায়। যাত্রাবাড়ীর ১৯, ২৮ ও ২৭ বই যখন বিক্রি হয়েছে তখন তপন মিয়া সেগুলো নিয়ে নিয়। এখানের ৪০ জন মালিক মিলে আমাকে এমডি এবং লিটনকে চেয়ারম্যান বানিয়েছে। আমরা কোন রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত নই। আমাদের মালিকপক্ষকে তারা ধরে ধরে নিয়ে গিয়ে সই করতে বাধ্য করেছে, তখন আমরা মামলা করতে গেলে তখনকার ওসি আব্দুস সাত্তার ছিল তপন মিয়ার মামা শ্বশুর। তিনি আমাদের কোন অভিযোগ বা মামলা নেন নাই। তবে উল্টা আমাদের নামেই মিথ্যা মামলা নিয়েছে।

তিনি আরও বলেন, সে মিথ্যা মামলায়র বাঁদীর সাথে কথা বলেছি, বাদী আমাদের জানিয়েছে, ‘আমরা আপনাদের চিনি না, আমার বন্ধু রানা আমার থেকে জায়গার কাগজ নিয়ে আপনার নাম ফাসিয়ে দিয়েছে।’ বৈষ্ণবী আন্দোলনের সময় বাদী সুমন গুলি খেয়ে ছিল সে মামলায় আমাদের নাম ফাঁসিয়ে দিয়েছে। তাদের এই মামলাদার উদ্দেশ্য বন্ধন পরিবহনকে দখল করা। রানা ও তপন যারা দখল করতে চাচ্ছে তারা গাড়ি বিক্রি করে চলে গেছিল এবং সেই বিক্রি করার সেল রিসিট আমাদের কাছে আছে। কিন্তু তারা মালিক কে কোনঠাসা করে গাড়ি দাবি করছে। আমরা সাধারণ জনগণ কোন রাজনৈতিক দল না, আমরা মালিক শ্রমিকদের নিয়ে যারা হামলা করতে এসেছিল তাদের প্রতিরোধ করেছি। এ হামলা আমাদের ৫-৭ জন কর্মী আহত হয়েছে।

এ বিষয়ে সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নজরুল ইসলাম লাইভ নারায়ণগঞ্জকে বলেন, নিজের শক্ত অবস্থান ধরে রাখার জন্য বন্ধন পরিবহনের ২ গ্রুপের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। সকালে এক গ্রুপের সাথে আলোচনার জন্য বসেছিলাম। তখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে চলে এসেছিলো। কিন্তু পরে আরেক গ্রুপ এসে ধাওয়া দেওয়া আবার দাওয়া পাল্ঠা দাওয়া শুরু হয়। পুলিশ এবং সেনাসদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে কাজ করছে। এ ঘটনায় ৭ জনকে আটক করা হয়েছে।

RSS
Follow by Email