- Details
-
Published on Wednesday, 20 September 2017 15:16
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, লাইভ নারায়ণগঞ্জ : ৭৭নং রামারবাগ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী সুরাইয়া আক্তার মিম। গত সাড়ে ৩ মাস যাবত বিদ্যালয়ে উল্লেখযোগ্য হারে উপস্থিত হতে পারেনি বলে এবার পরীক্ষার ফলাফল নিয়ে চিন্তিত মিমে’র পরিবার।
সুরাইয়া আক্তার মিম জানায়, এবার স্কুলে যাওয়ার সড়কে পানি থাকায় আমি তেমন একটা ক্লাস করতে পারিনি। এছাড়া অনিয়মিত গিয়েও তেমন কিছুই শিখতে পারিনি। ফলে পরীক্ষা কেমন দিতে পারবো জানি না।
ওই শিক্ষার্থীর বাবা খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়াম সংলগ্ন এলাকায় বসবাসরত মো. কামাল হোসেন বলেন, মিম প্রতিদিনই স্কুলে যেত, কিন্তু এবার বর্ষায় গত সাড়ে ৩ মাসেরও বেশি সময় ধরে জলাবদ্ধতা থাকায় তেমন একটা স্কুলে যেতে পারেনি। তাই এবার ওর পরীক্ষার ফলাফল নিয়ে চিন্তায় আছি।
জানা গেছে, এ অবস্থা ৭৭নং রামারবাগ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়’র শিক্ষার্থী মিমেরই নয়, গত সাড়ে ৩ মাস যাবত ডিএনডির ৮০ শতাংশ এলাকা পানির নিচে তলিয়ে থাকায় ওই এলাকার অধিকাংশ শিক্ষার্থীই নিয়মিত উপস্থিত হতে পারেনি। ফলে এবছর জেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পড়ালেখার মান নিয়ে অভিভাবক ও শিক্ষকদের মাঝে নানা সংশয় রয়েছে।
৭৭ নং রামারবাগ সরকারি প্রধামিক বিদ্যালয়ের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষাক লাইভ নারায়ণগঞ্জকে বলেন, সরকার চেষ্টা করছে প্রাথমিক শিক্ষার আওতায় শতভাগ শিশুকে আনতে। সরকারের সেই স্বপ্নটিকে বাস্তবায়ন করতেই আমরা কাজ করে যাচ্ছি। কিন্তু গত সাড়ে ৩ মাসের জলাবদ্ধতার করণে স্কুলটিতে গড় উপস্থিতি ছিল ৭০ ভাগ।
আর ৭৮নং পিলকুনি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জেসমিন বলেন, আমার স্কুলে কিছু দিন আসা যাওয়া করতে সমস্যা হয়েছিলো। তবে এখন ঠিক হয়ে গেছে।
এ বিষয়ে জানতে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো. মোহাম্মদ মনিরুল হকের মোবাইল ফোনে একাধীকবার ফোন করলেও তিনি ফোনটি রিসিভ করেনি।